সংক্ষিপ্ত

মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয় সাংসদ। যদিও বুধবার সকাল থেকেই স্পিকার ওম বিড়লা সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত হননি। বলা ভাল অধিবেশন থেকে তিনি দূরে ছিলেন।

 

মণিপুর ইস্যুতে সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই উত্তাল সাংসদ। লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন দফায় দফায় মুলতবি করে দিতে হচ্ছে। এই অবস্থায় রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ঘনিষ্ট সূত্রের খবর স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়েছেন তিনি অধিবেশনে যোগ দেবেন না যতক্ষণনা সাংসদরা হাউসের মর্যাদা রক্ষায় উদ্যোগী হবেন।

এদিনও মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয় সাংসদ। যদিও বুধবার সকাল থেকেই স্পিকার ওম বিড়লা সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত হননি। বলা ভাল অধিবেশন থেকে তিনি দূরে ছিলেন। লোকসভায় মঙ্গলবার লোকসভায় বিল পাসের সময় বিরোধী ও ট্রেজারি বেঞ্চের বেশ কয়েকজন সাংসদের আচরণে রীতিমত অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন স্পিকার। সূত্রের খবর সাংসদদের আচরণে তিনি এতটাই অসন্তুষ্ট যে অধিবেশনে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংসদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার ও বিরোধী দুই পক্ষের কয়েক জন সাংসদের ওপর তিনি অসন্তুষ্ট হয়েছেন।

সংসদের এক আধিকারিক বলেছেন, স্পিকার হাউসের সম্মান রাখেন। সেই কারণেই সাংসদদের থেকেও সেজাতীয় আচরণ প্রত্যাশা করেন। তিনি বারবার সাংসদের সংযত হতে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমণশই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।

বিরোধীরা মণিপুর ইস্যুতে তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রাখায় বুধবারও লোকসভায়র কার্যবিবরণী ব্যাবত হয়।প্রশ্নোত্তর পর্বে অনেক বিরোধী সদস্য স্লোগান দিয়ে থাকেন। প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন লোকসভার ওয়েলে নেমে। বিরোধীদের দাবি মণিপুর ইস্যুতে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদে বিবৃতি।

অন্যদিকে মণিপুর ইস্যুতে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র সদস্যরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করল। বুধবার ৩১ জন প্রতিনিধি মণিপুরের হিংসা ও মহিলাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য দাবি করেছে। বিরোধী জোটের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেয়। বিরোধী জোটের সদস্যদের দাবি মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য হিংসা বিধ্বস্ত রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর জরুরি বলেও দাবি করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া স্মারকলিপিতে শুধু মণিপুর ইস্যুই তুলে ধরা হয়নি। হরিয়ানা নুহর হিংসার ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে এজাতীয় হিংসার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে এখনও মাথা ঘামাচ্ছে না।