সংক্ষিপ্ত
কাশ্মীর সংহতি দিবসের (Kashmir Solidarity Day) সমর্থনে পাকিস্তানি অংশীদারদের টুইট নিয়ে ভারতে বিক্ষোভ। ক্ষমা চাইল ডমিনোজ এবং হোন্ডা ইন্ডিয়া।
বুধবার, পাকিস্তানের কাশ্মীর সংহতি দিবসের (Kashmir Solidarity Day) সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জেরে ভারতীয়দের কাছে ক্ষমা চাওয়া বহুজাতিক সংস্থাগুলির তালিকায় যুক্ত হল আরও দুটি নাম - পিৎজা চেইন ডমিনোজ (Domino's) এবং জাপানি অটোমোবাইল সংস্থা হোন্ডা (Honda)। দুই সংস্থাই এদিন তাদের পাকিস্তানি ব্যবসায়িক সহযোগীদের করা সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টে ভারতীয়দের অনুভূতিতে আঘাত লাগার জন্য ক্ষমা চেয়েছে। ডমিনো'স ইন্ডিয়া বলেছে, তারা ভারতীয় বাজারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই দেশের মানুষ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
ডোমিনো'স ইন্ডিয়ার বিবৃতি
এদিন টুইটারে এক বিবৃতি প্রকাশ করে 'ডোমিনো'স ইন্ডিয়া (Domino's India) জানিয়েছে, ভারতীয় বাজারের প্রতি তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা ভারতে রয়েছে। এই দেশের মানুষ সংস্কৃতি এবং জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতি তারা অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। বহুজাতিক পিৎজা চেইনটি আরও বলেছে, তারা চিরকাল ভারতীয় উত্তরাধিকারকে সমর্থন করে যাবে। এই দেশের সব কিছুকেই তারা সম্মান করে।
EjA h[]gv - সুজুকির পর 'কাশ্মীরের টুইট বিতর্ক' নিয়ে এবার বিবৃতি জারি করল 'কিয়া ইন্ডিয়া'
আরও পড়ুন - কেএফসি-র পর কাশ্মীর নিয়ে পোস্ট পিৎজা হাটের পাকিস্তানি শাখার, দেশে বয়কটের ডাক
হোন্ডা ইন্ডিয়ার বিবৃতি
একইভাবে হোন্ডা ইন্ডিয়াও (Honda India) টুইটারে ক্ষমা চেয়েছে। তারা বলেছে, ভারতীয়দের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য তারা দুঃখিত। প্রতিটি দেশের আইন এবং অনুভূতির সঙ্গে সম্মতিক্রমে ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে তারা গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পৃথিবীর যে কোন অংশেই সংস্থাটি জাতি, রাজনীতি, ধর্ম এবং সামাজিক বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে বলে দাবি করেছে হোন্ডা। ওই সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টের জন্য ভারতীয়রা যে আঘাত পেয়েছেন, তার জন্য তারা অত্যন্ত দুঃখিত।
বাড়ছে ক্ষমা চাওয়ার তালিকা
গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক আন্তর্জাতিক ব্যাবসায়িক সংস্থাকে ভারতীয়দের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছে ভারতীয়দের কাছে। প্রত্যেক বহুজাতিক সংস্থারই পাকিস্তানি ডিলাররা, তাদের নাম ব্যবহার করে কাশ্মীর সংহতি দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল। যা ভারতে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল। নেটিজেনরা এই সংস্থাগুলির পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। এই সংস্থাগুলির তালিকায় রয়েছে - অটোমোবাইল সংস্থা হুন্ডাই, টয়োটা, সুজুকি, কিয়া, ফাস্টফুড সংস্থা কেএফসি, পিজ্জা হাট ইত্যাদি।
রাজ্যসভায় কাশ্মীর টুইট বিতর্ক
সংসদের বাজেট অধিবেশন ২০২২ (Budget Session 2022) চলাকালীন, বিষয়টি রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) উত্থাপন করা হয়েছিল। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল (Piyush Goyal) জানিয়েছেন, ভারত সরকার এই সংস্থাগুলির কাছ থেকে আরও ভাল প্রতিক্রিয়া আশা করছে। অধিকাংশ বহুজাতিক সংস্থাই দাবি করছে, তাদের ব্র্যান্ড পরিচয়ের অপব্যবহার করা হয়েছে। পাকিস্তানের তাদের ব্যবসায়িক অংশীদাররা এটা করেছে। এর সঙ্গে সংস্থাগুলির ভারতীয় শাখার কোনও সম্পর্ক নেই।