সংক্ষিপ্ত
- জাতীয় সড়কে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে
- এই ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে এবার মাঠে নামছেন প্রাক্তন সেনা জওয়ানরা
- বডি ক্যামেরার সাহায্যেই চলবে নজরদারি
এই প্রথম জাতীয় সড়কে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে মাঠে নামছেন প্রাক্তন সেনা জওয়ানরা। জানা গিয়েছে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা নিজেদের দেহে ক্যামেরা ইনস্টল করে সেই ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চালাবেন। দিনে দিনে ট্রাফিক আইব ভঙ্গ করার পরিমাণ যে হারে বাড়ছে তার জন্য়ই সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রক সূত্রে খবর, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশ এবং বিহারের ১১টি জাতীয় সড়ক পথে সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা ইন্সটলেশন ছাড়াও প্রতি পাঁচ কিলোমিটারর অন্তর একটি বিশেষ জায়গায় মোতায়েন থাকবেন তাঁরা এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘিত হলে তার ছবিও রেকর্ড করবেন ক্যামেরায়।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, বডি ক্যামেরাতে রেকর্ড করা ভিডিও সরাসরি পৌঁছে যাবে ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। আর সেখান থেকেই গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জানা গিয়েছে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক সেন্টার এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের সহায়তায় এই পাইলট প্রজেক্টটি পরিচালিত হবে।
জানা গিয়েছে, এইভাবে বডি ক্যামেরা বসানোর ফলে কেউ ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার পরেও যদি কেউ তাঁদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার করে, তাও ধরা পড়বে সেই ক্যামেরায়। পরিকল্পনা মাফিক সারাদিন ধরেই জাতীয় সড়কের প্রতি ৬০ কিলোমিটার অন্তর মোতায়েন থাকবেন প্রাক্তন সেনারা। আর এই পাইলট প্রকল্পের ফলে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, ওভারটেক করা, পুলিশের সঙ্গে বচসা ইত্যাদি সব ধরা পড়বে।