সংক্ষিপ্ত
- বর্তমানে টিভি চালিয়ে দূরদর্শন দেখেন এমন লোকের সংখ্যা হাতে গোনা
- কিন্তু ভারতবাসীকে প্রথম টিভি দেখার স্বাদ দিয়েছিল দূরদর্শনই
- রবিবার দূরদর্শন ৬০ বছর পূর্ণ করল
- একসময়ে শক্তিমান, চন্দ্রকান্ত-এর মতো ডিডির ধারাবাহিক ছিল দারুণ জনপ্রিয়
বর্তমানে নেটফ্লিক্স, হটস্টার-এর যুগে টিভি চালিয়ে দূরদর্শন দেখেন এমন লোক হয়তো হাতে গোনা। কিন্তু ভারতে উপগ্রহ চ্যানেল ঢোকার আগে ভারতবাসীর কাছে টিভি বলতে ছিল এই দূরদর্শনই। সেই দূরদর্শন রবিবার ৬০ বছর পূর্ণ করল। অর্থাৎ আজ থেকে ভারতের প্রথম টিভি পরিষেবাদানকারী প্রবীন নাগরিক হল বলা যায়।
১৯৫৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর একচি অস্থায়ী স্টুডিও বানিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে পথ চলা শুরু হয়েছিল দূরদর্শনের। তবে নিয়মিত সম্প্রচার শুরু হয়েছিল ১৯৬৫ সাল থেকে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় দূরদর্শন তার বিভিন্ন আইকনিক অনুষ্ঠানের স্মৃতি সাধারণ মানুষের মনে উসকে দিয়ে এই ৬০ বছরে পা দেওয়ার বিশেষ মুহূর্তটি উদযাপন করছে। দেখুন তো মনে আছে কিনা দূরদর্শনে দেখা এই অনুষ্ঠানগুলির কথা -
শক্তিমান
১৯৯৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ২৭ মার্চ টানা ৮ বথর ধরে ডিডি ১ চ্যানেলে চলেছিল এই ধারাবাহিক। এটি ছিল ভারতের প্রথম সুপারহিরো কাহিনি। শক্তিমান-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ধারাবাহিকটির প্রযোজক মুকেশ খান্না।
চন্দ্রকান্ত
দেবকীনন্দন খাতরির 'চন্দ্রকান্ত' উপন্যাসের অনুপ্রেরণায় এই ধারাবাহিকটি তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ডিডি ন্যাশনাল চ্যানেলে সম্প্রটারিত হয়েছিল এই জনপ্রিয় ধারাবাহিক। এটির লেখা, প্রযোজনা, ও পরিচালনা সবই ছিল নীরজা গুলেরি-র।
বিক্রম আউর বেতাল
ভারতীয় পুরাণ কথার অবলম্বনে তৈরি এই ধারাবাহিও সম্প্রচারিত হয়েছিল ডিডি ন্যাশনালে। রাজা বিক্রমাদিত্য-কে নিয়ে লেখা বেতাল পঞ্চবিংশতি থেকে এর কাহিনিগুলি নেওয়া হয়েছিল।
১৯৮৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ
তবে ভারতে একই সঙ্গে ক্রিকেট ও টেলিভিশন জনপ্রিয়তা পেয়েছিল একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। তা হল ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সেই প্রথম লক্ষ লক্ষ মানুষ একসঙ্গে বসে দূরদর্শনে ক্রিকেট দেখেছিল। তবে সেইবার পুরো ম্যাচ দূরদর্শন সরাসরি সম্প্রচার করতে পারেনি। ফাইনালেই যেমন কপিল দেবের বিখ্যাত ক্যাচ ধরা দেখাতে পারেনি দূরদর্শন। তবু টিভিতে ক্রিকেট দেখার স্বাদ ভারতবাসীকে প্রথম দিয়েছিল দূরদর্শনই।