সংক্ষিপ্ত

আকাশপথে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারত আরও শক্তিশালী হল বলাই বাহুল্য। ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলো আকাশপথে হামলার উত্তর আরও কড়াভাবে দিতে পারবে বলেই আশাবাদী বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ সিং। 

বড়সড় সাফল্য ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ক্ষেত্রে। ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূলে একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে শুক্রবার ভার্টিকাল-লঞ্চ, স্বল্প-পাল্লার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল VL-SRSAM সফলভাবে পরীক্ষা করা হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং পরীক্ষার পরপরই টুইট করেন। এই টুইটে নৌবাহিনী এবং প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা অর্থাৎ ডিআরডিওকে তাদের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। 

নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেছেন, এই দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার বিকাশ ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে। প্রতিরক্ষা বিভাগের R&D সচিব এবং ডিআরডিও চেয়ারম্যান ডঃ জি সতীশ রেড্ডি বলেছেন যে পরীক্ষাটি ভারতীয় নৌ জাহাজে দেশীয় অস্ত্র ব্যবস্থায় অন্যতম মাত্রা যোগ করে। এটা প্রমাণিত যে VL-SRSAM ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য একটি শক্তি হিসাবে প্রমাণিত হবে। 

মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের ছবি শেয়ার করে রাজনাথ বলেন "ওডিশা থেকে ভার্টিকাল-লঞ্চ, স্বল্প-পাল্লার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণে ডিআরডিও ও নৌবাহিনীকে অভিনন্দন। এই সাফল্য সেনার শক্তি আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি করবে। আকাশপথে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারত আরও শক্তিশালী হল বলাই বাহুল্য। ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলো আকাশপথে হামলার উত্তর আরও কড়াভাবে দিতে পারবে বলেই আশাবাদী বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ সিং। 

প্রতিরক্ষা উত্পাদন বিভাগও টুইট করেছে, 'আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা'-এর সাফল্যের পিছনে মূল অবদান রেখেছে। তাই অভিনন্দন ভারতীয় নৌবাহিনীকে তাদের ভার্টিকাল-লঞ্চ, স্বল্প-পাল্লার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণে। "

এদিকে, জুন মাসের শুরুতেই ওড়িশা উপকূলে সফলভাবে অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রকে পরীক্ষা করা হয় যা দেশের সামরিক সক্ষমতার একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হিসেবে চিহ্নিত করা যায় ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত নিয়মিত ব্যবহারকারী প্রশিক্ষণ লঞ্চের একটি অংশ ছিল পরীক্ষাটি।

একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ,'সফল পরীক্ষাটি ভারতের শক্তিবৃদ্ধিকে নিশ্চিত করে।  সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ওড়িশার এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষা করা হয়। সরকার বলেছে যে লঞ্চটি সমস্ত অপারেশনাল প্যারামিটার এবং সিস্টেমের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করেছে। অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি সিরিজের চতুর্থ বাছাই। আগে অগ্নি ২ প্রাইম নামে পরিচিত ছিল - যা প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা DRDO দ্বারা তৈরি।

অগ্নি-৪ একটি দুই পর্যায়ের পারমাণবিক ক্ষমতা সক্ষম মধ্যবর্তী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে হুইলার দ্বীপ থেকে এটি প্রথমবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। এটির দৈর্ঘ্য ২০ মিটার এবং ওজন ১৭ টন এবং এটি ৮০০ কেজি পেলোড বহন করতে পারে।