সংক্ষিপ্ত
- বিয়ের আসরই বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে
- উথানী একাদশীয়তে বিয়ের আসরের অনুমতি
- ৩০০০ বিয়ের আসরের অনুমতি চেয়ে আর্জি
- সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন
উথানী একাদশী কি হয়ে উঠবে করোনা বোমা। কারণ এই পূণ্য তিথি বিয়ের জন্য সবথেকে শুভ হিসেবে গণ্য হয় রাজস্থানে। আর সেই কারণে ইতিমধ্যেই বিয়ের আসরের অনুমতি চেয়ে হাজার হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে প্রশাসনের কাছে। তাতেই রীতিমত মাথায় হাত পড়েছে রাজস্থানের জয়পুর প্রশাসনের। একদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কোপ অন্যদিকে বিয়ের অনুমতি দেওয়া- সবমিলিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কারণ আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জয়পুরে ৩ হাজারের বিয়ের আসর বসতে চলেছে। আর তারই অনুমোদন চাওয়া হয়েছে প্রশাসনের কাছ থেকে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা আশঙ্কা করছেন বিয়ের আসরগুলি থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জয়পুরের জেলা শাসক শঙ্কর সায়নী জানিয়েছেন নভেম্বর মাসেই তিন হাজার বিয়ের অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদন জানান হয়েছে। অনলাইন ও অফলাইনে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। দেবী উত্থানী একাদশী উপলক্ষ্যে চলতে মাসেই প্রচুর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু মহামারির কারণে ১০০ জনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেশি রয়েছে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলা শাসক।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ের আসর অবশ্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেই কারণেই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ আধিকারিকরা নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, ফেস মাস্ক পরার নির্দেশিয়া অনুসরণ করার কথা বলেছেন। পাশাপাশি ১০০ বেশি মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে ১০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্ষ করার কথাও বলা হয়েছে। বিয়ের আসরে করোনা সংক্রান্ত আইন মেনে চলা হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নামবে পুলিশ।
টেন্ট ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবি জিন্দাল জানিয়েছেন, আগামী এক মাসে জয়পুরে বিয়ের অনুষ্ঠানের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন করোনা মহামারির কারণে ১০ লক্ষেরও বেশি তাঁবু, ক্যাটারার ও ফুল ব্যবসায়ী রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আগামী দিনে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী রাজস্থানে মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৪৭ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৩২৩২জন। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন স্থানীয় প্রশাসন।