সংক্ষিপ্ত

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সারা বিশ্বেই আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ব্যহত করেছে। আন্তর্জাতিক উড়ান নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এটি আরও একটি করোনাভাইরাসের তরঙ্গ তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রনের (Omicron) সতর্কতার মধ্যে সরকার আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান (International Flight) চলাচল আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকেই এই আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বিমান পুনরায় চলাচল করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তই কার্যকর থাকবে বলেও জানান হয়েছে। 


ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশেনের (DGCA)পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানেই  বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিত বিমান চলাচলের ওপর বিশেষ স্থাগিতাদের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বাড়ান হল। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞ সমস্ত কার্গো বিমান ও বিশেষ অনুমোদিত বিমানের ক্ষেত্র প্রযজ্য নয়। যার অর্থ মালবাহী বিমানের সঙ্গে বিশেষ অনুমোদিত বিমানও চলাচল করবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিক বিমানগুলি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্বাচিত কিছু রুটে চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হবে পারে। 

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সারা বিশ্বেই আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ব্যহত করেছে। আন্তর্জাতিক উড়ান নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এটি আরও একটি করোনাভাইরাসের তরঙ্গ তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার ফলে বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক উড়ানের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। অধিকাংশ দেশই ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার উড়ানের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। কারণ এই দেশেই প্রথম ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। 

তবে বিশেষজ্ঞদের কথায় আগের তিনটি  করোনার রূপের তুলনায় ওমিক্রনণের সংক্রমণের প্রভাব অনেকটাই কম। এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়ালেও তেমন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে না অনেকেই। প্রথম দফায় দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্তেরদের অধিকাংশই বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। তাদের হাসপাতালে যেতে হয়নি। 

তবে ওমিক্রনের সংক্রমণ এড়াতে দিল্লি বিমান বন্দরে রীতিমত যুদ্ধকালীন তৎপরতা  লক্ষ্য করা যায়। তারণ বিদেশ ও যেসব দেশে সংক্রমণের মাত্রা বেশি সেই সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য ২০টি কাউন্টার তৈরি হয়েছে। কোভিড পরীক্ষাও বাধ্যতামূলক করা হয়ে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য আরটি পিসিআর টেস্টও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।  পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইই জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ নজরদারিও চালান হচ্ছে। শুধু দিল্লি নয় দেশের প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরেই কড়া নদরদারি চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকও বিশেষ তৎপর রয়েছে। 

Omicron: ওমিক্রন কতটা বিপদ ডেকে আনছে, স্পষ্ট করে জানালেন মার্কিন রোগ বিশেষজ্ঞ ফাউসি

Omicron: কতদ্রুত ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়াতে পারে, প্রমাণ দিল হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরা

COVID Data Fraud: মোদী সনিয়ারা টিকা নিয়েছিলেন বিহার থেকে, জাল তালিকা ঘিরে শোরগোল