সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি সম্প্রতি এক সম্মেলনে দাবি তোলেন যে পর্যটন শিল্প ফের ধীরে ধীরে ফিরছে আগের জায়গায়।বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ার মার্কেট থেকে ব্যবসা সবেতেই ধ্বস নামলেও পর্যটন সেক্টরের চিত্রটা খানিকটা হলেও আলাদা।
কোভিডের চোখরাঙানিতে ফের জর্জরিত দেশ। ইতিমধ্যেই শেয়ার মার্কেট থেকে ব্যবসা সবেতেই নামছে ধ্বস। কিন্তু পর্যটন সেক্টরের চিত্রটা খানিকটা হলেও আলাদা। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি সম্প্রতি এক সম্মেলনে দাবি তোলেন যে পর্যটন শিল্প ফের ধীরে ধীরে ফিরছে আগের জায়গায়। তিনি বলেন ,'বর্তমানে এই সেক্টরের অবস্থা বেশ ভাল। অন্য কোনও দেশ পর্যটন শিল্পে সাফল্য পায়নি'. এমনকি বিএফ ৭ এর সংক্রমণের আশঙ্কা এড়াতে তিনি সকলকে মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিলেও। তার দৃঢ় বিশ্বাস যে ভারতে আর মহামারি ফিরবে না।
পর্যটন শিল্পের উন্নতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন , বর্তমানে শ্রীনগরে পর্যটকদের বিশাল ভিড় দেখা যাচ্ছে। মানুষ তুষারপাত এবং কাশ্মীরের ঠান্ডা উপভোগ করতে সবাই কাশ্মীর যাচ্ছেন বেড়াতে । একই সঙ্গে কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথেও পর্যটকদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। তার বিশ্বাস ভবিষ্যতে রাম জন্মভূমিও ভারতে আগত বিদেশি পর্যটকদের কাছে অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হয়ে উঠবে । এমনকি সেই তালিকা থেকে ব্যাড যাবে না কাশী, সোমনাথ, উজ্জয়ীন এবং অমৃতসরও ।
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে পরিবহণ এবংপর্যটন শিল্পের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। জাতীয় সড়কের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলেই পর্যটন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোনও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো আবশ্যক। আগে যেখানে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে ১৬ ঘণ্টা সময় লাগত। অটলবিহারি বাজপেয়ী সরকারের সময়ে নতুন জাতীয় সড়ক তৈরি হাওয়ায় সেই সময় কমে গেছে অনেক । ইউপিএ সরকারের সময়ে সেগুলির সঠিক পরিচর্চা বা উন্নয়ন না হলেও মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় সড়কগুলির উপর ফের কাজ শুরু করা হয়।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই দেশের পর্যটনের সবথেকে বড় দূত বলে জানিয়েছেন জি কিষাণ রেড্ডি।