সংক্ষিপ্ত

  • জনপ্রিয় বেতার শো 'মন কি বাত'-এ এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
  • কেন্দ্রের ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কথা বললেন তিনি
  •  যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতেই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে
  • মন কি বাত-এ এই কথাই বললেন মোদী

রবিবার আরও একবার জনপ্রিয় বেতার শো 'মন কি বাত'-এ এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই লতা মঙ্গেশকরকে তাঁর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান তিনি। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দিলেন বিশেষ বার্তা। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে তার কারণ এর ফলে স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। 

বিশেষত, যুব সম্প্রদায়ের ওপর অত্যন্ত ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে। মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে, অনেক যুব সম্প্রদায়ের আজকার একটা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে, ই-সিগারেট ক্ষতিকর নয়।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,'আমরা সকলেই জানি যে, তামাকের আশক্তি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং এই আশক্তি থেকে বেরিয়ে আসাও খুব কঠিন। যাঁরা নিয়মিত তামাক সেবন করেন তাঁরা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসারের মতো নানা সমস্যায় ভোগেন । বিশেষত যুব সম্প্রদায়ের কাছে নিকোটিন ভীষণই ক্ষতিকারক এবং এটি মানসিক বিকাশের ওপরেও বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে থাকে।' পাশাপাশি তরুণ সম্প্রদায়কে ই-সিগারেটের ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন যে, ই-সিগারেট সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবেই জিনিসটি এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

তিনি আরও জানান যে, দেশের একাধিক সংস্থা ই-সিগারেট বিক্রি করা শুরু করেছিল। যার জন্য় একপ্রকার বাধ্য হয়েই ই-সিগারেট বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার বলে জানান নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন, ই-সিগারেট নিয়ে কার্যত কোনওরকম সচেতনতাই নেই। কোনও কিছু না জেনেই আমাদের যুব সম্প্রদায় এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং একটু একটু করে নেশার শিকার হয়। মোদী  আরও বলেন 'আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করছি তামাকের আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসুন এবং ই-সিগারেট সম্পর্কে কোনও ভুল ধারণা পোষণ করবেন না। আসুন, আমরা সবাই সুস্থ ভারত গড়ি।'

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ভারতে সব ধরণের ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে। নতুন এই আইন বলে ই-সিগারেট বিক্রয়, ক্রয়, আমদানি, উৎপাদন, জমা রাখা এবং  বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আইন যদি কেউ লঙ্ঘন করেন,তাহলে তার সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।