গোয়ায় ৯০ শতাংশের উপরে ভ্যাকসিনেশন হয়ে গিয়েছে। প্রায় অধিকাংশ গোয়াবাসীই কোভিডের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন, বলে বার্তা দিলেন নির্বাচন কমিশনের তরফে সুশীল চন্দ্র।
- Home
- India News
- EC Announces 5 State Assembly Elections Date-Live Updates: ভোটগ্রহণ শুরু ১০ ফেরব্রুয়ারি, গণনা ১০ মার্চ
EC Announces 5 State Assembly Elections Date-Live Updates: ভোটগ্রহণ শুরু ১০ ফেরব্রুয়ারি, গণনা ১০ মার্চ
৫ রাজ্যে ভোটগ্রহণ কবে হবে এই নিয়ে গত বছরের শেষ থেকেই একটা গুঞ্জন ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বিভিন্ন সভা-সমিতিতে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ২০২২-এর শুরুতেই ভোট হবে। অতিমারির জন্য ৫ রাজ্যে ভোটগ্রহণ পিছনোর কোনও দরকার যে হবে না তাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র গলাতেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথার-ই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল যে ৫ রাজ্যে-র করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই ভোট গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০২২-এর বছর শুরু হতেই গত কয়েক দিন ধরে ৫ রাজ্যে ভোট নিয়ে তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুর-এর করোনা এই মুহূর্তের পরিস্থিতির রিপোর্ট কমিশনের কাছে চলে আসতেই জল্পনা শুরু হয়ে যায় ভোটের দিণক্ষণ নিয়ে। অবশেষে শনিবার সকালেই নির্বাচন কমিশন সূত্রে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েই দেওয়া হয় যে এদিনই ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চলেছে কমিশন।
- FB
- TW
- Linkdin
১০ মার্চ ৫ রাজ্যে ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে, এমনটাই জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন
এবারে মোট ৭ দফায় ভোট হতে চলেছে ৫ রাজ্যে। এর মধ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে পঞ্জাবে। নোমিনেশন জমার শেষ তারিখ ২৮ জানুয়ারি।
৫ রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে ১৪ জানুয়ারি এবম ভোট প্রক্রিয়া শেষ হবে ১০ মার্চ। উত্তর প্রদেশে ৭ দফায় নির্বাচণ, মণিপুরে ২ দফায় ভোট, পঞ্জাব, গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডে ১ দফায় ভোট।
দুয়ারে দুয়ারে প্রচারে ৫ জনের বেশি লোক নয়, প্রার্থীদের এবার কঠোরভাবে এই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
১৫ তারিখ পর্য.ন্ত কোনও ধরনের প্রকাশ্য প্রচার নয়, পদযাত্রা, সভা-সমিতি, সাইকেলযাত্রা-সবেতেই নিষেধাজ্ঞা। অতিমারির পরিস্থিতি দেখে এই সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
৫ রাজ্যেই ভোটগ্রহণের সময়সীমা ১ঘণ্টা করে বাড়ানো হয়েছে বলে জানাল কমিশন.
নির্বাচনকে দুর্নীতিমুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর নির্বাচন কমিশন, কোনও ধরনের দুর্নীতি দেখলেই ছবি তুলে সি-ভিজিল্যান্সে পোস্ট করলেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।
উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডে ভোটে রাজনৈতিক দলগুলি ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবে, মণিপুর ও গোয়ায় রাজনৈতিক দলগুলি ২৮ লক্ষ টাকা করে খরচ করতে পারবে।
কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুবিধা. জানাল নির্বাচন কমিশন।
২০১৭-র তুলনায় ৫ রাজ্যেই ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা আগের থেকে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সব গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এখানে সব ধরনের পরিষেবা থাকতে হবে।
৫ রাজ্যেই মহিলা ভোটদাতার সংখ্যা অন্যবারের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরপ্রদেশে মহিলা ভোটারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি পড়েছে।
কোভিড সেফ ভোট করতে বদ্ধ পরিকর নির্বাচন কমিশন, সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে পরিস্কার জানানো হল। এর জন্য বহু বিষয়ে কথা হয়েছে। নজর দেওয়া হয়েছে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির উপরে।
ডিসেম্বর মাসেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট একটি নির্দেশিকা জারি করে। এতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে আদালত জানিয়েছিল যাতে ভোট কয়েক মাসের জন্য পিছানো হয়। বিশেষ করে ওমিক্রনের প্রকোপ যেভাবে বাড়তে তাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা জরুরি বলেও জানিয়েছিল আদালত।
গত সপ্তাহেই ৫ রাজ্যে ভোট নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। এই বৈঠকে উত্তরপ্রদেশে ভোটগ্রহণের সময়সীমা বাড়ানো যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়। কারণ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সোশ্যাল ডিস্টান্সিং পালন করতে গেলে ভোটগ্রহণের সময়সীমা বাড়াতে হবে বলেই মনে করছে কমিশন। এমনকী ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে এতে সমস্যার সমাধান করা যায় কি না তা নিয়ে চর্চা হয়েছে এই বৈঠকে। উত্তরপ্রদেশে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিধানসভা আসন রয়েছে। ফলে এখানে ভোট করানো মানে এক রাজসূয় যজ্ঞ বলা যেতে পারে।
সবচেয়ে যেটা চিন্তার বিষয় তাতে ওমিক্রন-এর সংক্রমিত করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ঘোষণা মানেই সভা-সমিতি, ব়্যালি, দুয়ারে-দুয়ারে প্রচার-সবই করবে রাজনৈতিক দলগুলি। তাহলে এক্ষেত্রে কী ধরনের কোভিড বিধি লাগু করার নির্দেশিকা জারি করে কমিশন- সেদিকেও নজর সকলের। যদিও, অতিমারির মধ্যে প্রতিটি ভোটেই কোভিড বিধি-র কথা শুনিয়েছে কমিশন- কার্যক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দলই তা মান্য করেনি। বরং বিপন্ন করেছে সাধারণ মানুষকে। এই নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক হলেও নির্বাচন কমিশনের কোনও সদর্থক পদক্ষেপ দেখা যায়নি বলেও অনেকে অভিযোগ করেছিলেন।
কোভিড অতিমারিতে নির্বাচন কমিশন প্রথম ভোট করিয়েছিল বিহারে। এরপর এই তালিকায় জুড়েছে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু, কেরলের নামও। কিন্তু প্রতিটি রাজ্যেই দেখা গিয়েছে যে ভোটপরবর্তী সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল। এই রাজ্যে বিধানসভা ভোট মিটতেই যেন করোনার সুনামি নেমেছিল। নতুন করে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা চমকে দিয়েছিল বিশ্বকে। ফলে, ওমিক্রন-এর সুনামি যখন আছড়ে পড়েছে দেশে। প্রতিনিয়ত দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে সংক্রমণের সংখ্যা সেখানে ৫ রাজ্যে ভোট ঘোষণা আদৌ যুক্তিযুক্ত কি না তা নিয়ে তর্জা চলছে।