সংক্ষিপ্ত
অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছিলেন যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা ইভিএমে কারচুপি করছে এবং বারাণসী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় প্রার্থীদের না জানিয়েই সেই ইভিএম স্থানান্তর করছেন।
সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) প্রধান অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) বারাণসীর (Varanasi) একটি স্ট্রংরুম (Strong Room) থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) চুরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। এর একদিন পরে, নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বারাণসীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ADM) এন কে সিংকে পরিবহন প্রোটোকল লঙ্ঘনের জন্য বরখাস্ত করেছে।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রেখে সিনিয়র ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার চন্দ্র ভূষণ কুমার বলেছেন যে ইসিআই প্রোটোকল লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং গুজব ছড়ানোকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিইও ইউপিকে নির্দেশ দিয়েছে।
অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছিলেন যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা ইভিএমে কারচুপি করছে এবং বারাণসী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় প্রার্থীদের না জানিয়েই সেই ইভিএম স্থানান্তর করছেন। এই অভিযোগের জবাবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দল আমাদের নজরে এনেছে যে বারাণসী জেলায় একটি গাড়িতে কয়েকটি ইভিএম পরিবহন করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব ইভিএম প্রশিক্ষণের কাজে লাগানো হয়েছিল। এই ইভিএমগুলিকে নয়ই মার্চ, রাজ্যের একটি কলেজে প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং একটি খাদ্যশস্যের গুদামে রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে ভোটে কারচুপির কোনও সম্পর্ক নেই। "
ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা, ২৪ ঘন্টা ইভিএমের উপর নজরদারি
ইভিএমের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশদভাবে নির্বাচন কমিশন বলেছে যে ১৩০ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক, ১০ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে নির্ভুল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য। ইভিএমগুলিকে ত্রিস্তরের নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে, ২৪×৭ সিসিটিভি তত্ত্বাবধানে এবং প্রতিটি ইভিএমের সিরিয়াল নম্বর রাজনৈতিক দলগুলির সাথে শেয়ার করা হয়েছে।
এসপি প্রধান অখিলেশ যাদবের অভিযোগ ছিল যে বারাণসীর স্ট্রংরুম থেকে ইভিএমগুলি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কোনও তথ্য ছাড়াই 'চুরি' করা হচ্ছে। ইসি স্পষ্ট করে বলেছিল যে যে ইভিএমগুলি পরিবহন করা হয়েছিল সেগুলি ভোটে ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে, লখনউ পুলিশ কমিশনার ডি কে ঠাকুর বলেছেন যে ভোট গণনার আগে ইভিএম স্ট্রংরুমের চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সোমবার উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক্সিট পোল রাজ্যে বিজেপির ফের ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে।
বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি এবং তার সহযোগীরা উত্তরপ্রদেশে ৪৩ শতাংশ ভোট পেতে চলেছে। অন্যদিকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, পেতে পারে ৩৫ শতাংশ ভোট। এছাড়া, মায়াবতীর (Mayawati) বিএসপি (BSP) পেতে পারে ১৫ শতাংশ ভোট, আর কংগ্রেস পেতে পারে মাত্র ৩ শতাংশ ভোট। অন্যান্যরা পেতে পারে ৪ শতাংশ ভোট।