সংক্ষিপ্ত
-কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের দাবি কেন্দ্রীয় সরকার মদ বিক্রি নিয়ে যে পলিসি জারি করেছিল। সেটি লঙ্ঘন করেই নাকি দিল্লি সরকার চালাচ্ছিল তাদের মদ চক্র।
এনফোর্মেন্ট ডিরেক্টর ইডি দিল্লি মদ চক্রর সাথে জড়িত প্রায় ৪০ টি জয়গায় দফায় দফায় তল্লাশি চালাচ্ছে । দিল্লির সাথে সাথে হায়দ্রাবাদ , বেঙ্গলুরু, ম্যাঙ্গালুরু ও চেন্নাই বেশ কিছু অংশে এখনো চলছে তল্লাশি অভিযান । ৪০ টি জয়গায় সমানতলে চলছে তল্লাশি।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের দাবি কেন্দ্রীয় সরকার মদ বিক্রি নিয়ে যে পলিসি জারি করেছিল। সেটি লঙ্ঘন করেই নাকি দিল্লি সরকার চালাচ্ছিল তাদের এই মদ চক্র। এমনকি তারা এও দাবী করেন যে দিল্লির ডেপুটি সিএম মনীশ সিসোদিয়া ও নাকি সরাসরি যুক্ত এই চক্রে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই অনেকদিন আগেই এটি লক্ষ্য করেছিলেন যে আপ সরকার লিকার ট্রেডিং পলিসির বিরুদ্ধে গিয়েই লিকর ট্রেড করছে। এমনকি তারা এও দেখেন যে আপ সরকারের বেশ কিছু নেতারাও এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ব্যাপারটি জানাজানি হতেই সিবিআই ওই বুরোক্র্যটদের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করে। এফ আই আর এ স্পষ্ট বলা হয় যে ২০২১ সালের নভেম্বরে লিকার সংক্ৰান্ত যে পলিসি পাস হয়েছিল সেটি লঙ্ঘন করেছে দিল্লী সরকার।
অবশ্য মনীশ সিসোদিয়া সহ অন্যান্যরা সরাসরি বলেন যে এ অভিযোগ পুরোটাই মিথ্যে। এইভাবে দিল্লির আপ সরকার ভাঙার ষড়যন্ত্রই করছে বিজেপি সরকার
এর আগেও মহারাষ্ট্রের সরকার ভাঙার জন্য কেন্দ্র যেভাবে উঠে পরে লেগেছিলো তার পরিণতি দেখেছে গোটা দেশ। শিবসেনার মধ্যে এমন সুকৌশলে ভাঙ্গন ঘটিয়ে মহারাষ্ট্রের মতো জায়গায় নিজেদের আধিপত্য কায়েম করা। এই সবকিছু এতদিন খুব সুকৌশলেই করে এসেছে বিজেপি। বিজেপির কূটনীতির ফাঁদে পা দিয়েই উদ্ধব ঠাকরের মতো রাজনীতিবিদও আজ নিজের রাজ্যে কোনঠাসা। যে রাজ্যসরকারগুলি বিজেপির নয় কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বারবার টার্গেট করে - এমন দাবিও প্রায়ই শোনা যায় বিরোধী শিবিরে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলে সিবিআই এর তলব নিয়েও এমন অভিযোগ করতে শোনা গেছে তৃণমূল সুপ্রিম মমতা ব্যানার্জীকে। তাই আপ সরকার ভেঙে দেবার জন্য এটাও কি বিজেপির গড়া কোনো যড়যন্ত্র ?..প্রশ্ন উঠছে বারবার।
তবে কিছুদিন আগে মনোজ সিসোদিয়া এক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন বিজেপি কিভাবে তাকে প্রলুব্ধ করছে আপ ছাড়ার জন্য। প্রকাশ্যে বিজেপির পাঠানো চিঠিটাও সবার সামনে তুলে ধরেন তিনি। আর স্পষ্ট বলেন বিজেপির এমন রাজনীতির বিরুদ্ধে তিনি বরাবর সরব থেকেছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।
মনোজ সিসোদিয়ার এমন আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়েই কি কেন্দ্র তাকে মদ চক্রে ফাঁসিয়ে দিতে চাইছে ?উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ।
তবে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে এটি কতটা প্রভাব ফেলবে সেটি এখন দেখার।