সংক্ষিপ্ত
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তা পালন করা হয়নি।
আর্থিক দুর্নীতি মামলাগুলোতে সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে জমা পড়েছে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা! সেই টাকা নাকি বিতরণ করা হবে বিভিন্ন অ্যাকউন্টে। এমনই দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এই পর্যন্ত শুনে সবাই হত ভাবছেন আগের নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির কথা। অনেকেই ভাবছেন সেই ১৫ লক্ষ টাকার কথা, যা প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও পাননি কেউ। কিন্তু সেই এক দশক পুরোনো প্রতিশ্রুতিই নতুন করে ভাবনা চিন্তা করছে কেন্দ্র সরকার। বিষয়টি অবাস্তব মনে হলেও সত্যি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে সময় দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে বেশ জোরের সাথেই বিদেশের ব্যাংকে থাকা কালো টাকা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নমো। তবে তা পালন করা হয়নি।
তবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা আমজনতার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে তাঁর সরকার। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে এ প্রসঙ্গে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, 'আমি এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি। কেননা আমি হৃদয় থেকে চাই গরিবের যে টাকা এরা লুঠ করেছে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে, সেটা তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে।'
সেইসাথে তিনি আরও জানিয়েছেন ‘যদি কোনও আইনি সম্ভাবনা থাকে আমি করবই। এই মুহূর্তে আমি আইন বিশেষজ্ঞদের দলের সঙ্গে কথা বলছি। বিচারব্যবস্থার কাছে প্রশ্ন রেখেছি, ওই টাকাগুলোর কী হতে পারে, সে ব্যাপারে পরামর্শ দিতে।’ তবে এত বছর কেটে যাওয়ার পরেও কারও অ্যাকাউন্টে আগের প্রতিশ্রুতি মতো ১৫ লক্ষ টাকা না ঢোকায় ভোটের মুখে আবার মাথাচাড়া দিয়েছে সেই প্রশ্ন। এবারও স্রেফ কথার কথা বলছেন মোদী, নাকি আদৌ সারবত্তা আছে কিছু তাতে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।