Jagdeep Dhankhar News: সোমবার রাতেই উপ রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাহলে কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী উপ রাষ্ট্রপতি? দৌড়ে এগিয়ে কারা? জানুন বিশদে… 

India Vice President Election: উপ-রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করল নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, উপ রাষ্ট্রপতি পদে জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফা গেজেট মারফত স্বীকৃত হয়েছে। ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনখড় ইস্তফা দিয়েছেন। এমন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ২২ জুলাই গেজেট বিজ্ঞপ্তি (S.O.3354(E)) মারফত। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশন উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকে। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় The Presidential and Vice-Presidential Elections Act, 1952 ও Presidential and Vice-Presidential Elections Rules, 1974 অনুযায়ী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্ব চলছে এবং তা শেষ হলেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে।

কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই যে প্রাথমিক কাজগুলি শুরু হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:-

1. ইলেক্টোরাল কলেজ তৈরির কাজ – যার মধ্যে লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচিত এবং মনোনীত সদস্যরা থাকবেন;

2. রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নের প্রক্রিয়া। 

3. অতীতের উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য ও ব্যাকগ্রাউন্ড উপাদান সংগ্রহ ও প্রকাশ।

নির্বাচনের নির্ঘণ্ট খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে, জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

অন্যদিকে, দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় সোমবার রাতে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে আকস্মিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর পদত্যাগপত্র অবিলম্বে গ্রহণ করেন। তবে, এই পদত্যাগের পেছনের ঘটনা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে এবং এতে রাজনৈতিক তৎপরতার এক বড় খেলা চলছে বলে স্পষ্ট হচ্ছে। ধনখড়ের মেয়াদ শেষ হতে আরও দুই বছর বাকি থাকতেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ধনখড় রাজ্যসভার সভাপতি হিসেবে সোমবার হঠাৎ করে বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার ঘোষণা দেন। বিশেষ করে, এই বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও পূর্ব তথ্য ছিল না। ফলে সরকার সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল এবং এই ঘোষণার পর ক্ষমতাসীনদের বড় ধাক্কা লাগে। এই প্রস্তাব নিয়ে আগেই লোকসভার জন্য কৌশল ঠিক করা হয়েছিল। বিরোধীদের আস্থায় নিয়ে তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যসভার সভাপতি প্রস্তাব ঘোষণা করে সব হিসেবই নষ্ট করে দেন।

ঘটনাক্রম জটিল হয়ে উঠছে বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক ডাকেন। এই বৈঠক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাজ্যসভার সাংসদদের চিফ হুইপের মাধ্যমে জরুরিভাবে ডেকে পাঠানো হয়। তাদের ‘১০-১০ জনের দলে’ ভাগ করে বৈঠকস্থলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠকে সাংসদদের কাছ থেকে একটি প্রস্তাবে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। মিত্র দলের সাংসদদেরও ডেকে তাদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এই বৈঠকের সময় সাংসদদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয় যে, “এই বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা বলবেন না এবং আগামী চার দিন দিল্লি ছাড়বেন না।”

Scroll to load tweet…

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।