সংক্ষিপ্ত

হরিদ্বার থেকে জল সংগ্রহ করে শোভাযাত্রা ফিরছিল। মেরঠের ভবনপুর এলাকার রলি চৌহান গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

 

শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে বিপত্তি। আচমকাই বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু পাঁচ তীর্থযাত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠ জেলায়। জানা যাচ্ছে শিবের মাথায় জল ডজাক্তে ২২ ফুটের ডিজে বক্সে চলছিল তারস্বরে গান, তাল মিলিয়ে চলছিল নাচও। আচমকাই ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইনের তার ছুঁয়ে যায় ডিজে বক্সের মাথা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের। আহত আরও বেশি। সূত্রের খবর, হরিদ্বার থেকে জল সংগ্রহ করে শোভাযাত্রা ফিরছিল। মেরঠের ভবনপুর এলাকার রলি চৌহান গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

মিরাটের ভবনপুর এলাকার রলি চৌহান গ্রামে আচমকাই একটি ১১ হাজার ভোল্টের সঙ্গে লেগে যায় ২২ ফুট উচ্চতার একটি ডিজে বক্সের মাথা। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তীর্থযাত্রীরা। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন রলি চৌহান গ্রামের বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের। স্থানীয়রা বাইকে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। পাঁচ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

প্রসঙ্গত, রিপোর্ট বলছে গত ২৪ ঘন্টায় এই রাজ্য বৃষ্টি জনিত কারণে মৃতের সংখ্যা ১০। শনিবাড় এই সংক্রান্ত একটি একটি বিবৃতিও দেওয়া হয় ত্রাণ কমিশনের পক্ষ থেকে। বিবৃতিতে জানানো তথ্য অনুযায়ী রামপুর এলাকায় গত ২৪ ঘন্টায় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। বালিয়া, মাহোবা এবং ললিতপুর জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। সাপের কামড়ে সুলতানপুরে মারা গিয়েছেন একজন। গত কয়েকদিন উত্তরপ্রদেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৫০ জনের।

সেই রাজ্যের সেচ দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রবল বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে গঙ্গা। একাধিক জেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে জলস্তর। ইতিমধ্যেই বদায়ুঁ জেলায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। বুন্দেলশহর এবং ফারুখাবাদেও গঙ্গার জল বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। জলস্তর বেড়েছে যমুনারও। প্রয়াগরাজে বিপদসীমার কাছ দিয়ে বইছে যমুনার জল। মথুরাতেও বিপদসীমা ছাড়িয়েছে যমুনা নদী। ইতিমধ্যেই প্লাবিত নদী সংলগ্ন একাধিক নিচু এলাকা। মথুরা এবং বৃন্দাবনে একাধিক রাস্তা জলের তলায়। অতি বৃষ্টি ও জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত চাষের জমিও। ফলে ফসলেরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। মৌসম ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের মোট ৭৫টি জেলার মধ্যে ৩২টি জেলা অতিবৃষ্টির জেরে প্লাবিত। তবে আগামী ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।