সংক্ষিপ্ত

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বিজয় চৌধুরী বলেন, বাজেটে নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সরকারের মনোযোগ নারীদের এগিয়ে নেওয়ার দিকে।

বিহারের মহাজোট সরকার মঙ্গলবার ২০২৩-২০২৪ বছরের অর্থাৎ বিহার বাজেট ২০২৩-২০২৪ পেশ করেছে। এই সময়ে, নীতীশ সরকার বাজেটে কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে মহিলাদের ক্ষমতায়ন পর্যন্ত অনেক বড় ঘোষণা করেছে। অর্থমন্ত্রী বিজয় চৌধুরী বাজেটে নারী ও শিক্ষার্থীদের জন্যও অনেক কিছু ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, বিহারে ১০ লাখ যুবকের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন বিভাগে শূন্যপদ অপসারণ করা হবে। বিপিএসসির মাধ্যমে ৪৯ হাজার শূন্য আসন পূরণ করা হবে। সরকারি চাকরির পাশাপাশি তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও সরকারের নজর রয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বিজয় চৌধুরী বলেন, বাজেটে নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সরকারের মনোযোগ নারীদের এগিয়ে নেওয়ার দিকে। স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনেও এর প্রভাব দেখা গেছে। যেখানে ১৬ জন প্রধান কাউন্সিলরসহ ৪,২০৯ জন প্রধান, ২০৯৮ জন মহিলা নির্বাচিত হয়েছেন। বিহারে জীবিকা অভিযান গোটা দেশে নজরে পড়েছে। তিনি বলেন, বিহার সরকার জাতিশুমারি করছে। ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে গণনা শেষ হবে।

বিহার বাজেট ২০২৩-২৪ এর বড় ঘোষণা

১০ লাখ যুবকের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা বিহার সরকারের।

বিএসসিতে ২৯ হাজার এবং বিটিএসসিতে ১২ হাজার শূন্যপদ থাকবে।

মহিলা ক্ষমতায়ন প্রকল্পের জন্য ৬০ কোটি টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

দশম পাস ছাত্রীদের বৃত্তির জন্য ৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।

পাটনা মেডিকেল কলেজের জন্য ৫৫৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

২১টি মডেল সদর হাসপাতাল নির্মাণের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

রাজ্যের ৯টি জেলায় তৈরি হবে নতুন মেডিক্যাল কলেজ।

গার্ল সাইকেল স্কিমের জন্য বাজেটে ৫০ কোটি এবং গার্ল ড্রেস স্কিমের জন্য একশো কোটির বিধান।

তালাকপ্রাপ্ত মুসলিম স্কিমের আওতায় এখন ১০ হাজারের পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।

২৩-২৪ সালে মাদ্রাসার জন্য ৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে

অর্থনৈতিক উন্নয়নে তিন নম্বরে বিহার

বাজেট বক্তৃতার সময় বিজয় চৌধুরী বলেছিলেন যে বিহারের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার প্রায় ১১ শতাংশ। সারা দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিহার রয়েছে তিন নম্বরে। তিনি বলেন, দ্রুত উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের আর্থিক সংস্থান প্রয়োজন। বিহার গত ১০ বছরে ক্রমাগত উন্নতি করছে। বিহারের উন্নয়নের জন্য আমরা ক্রমাগত কেন্দ্রের কাছে বিশেষ মর্যাদা দাবি করছি।