১০৮ টি শিশুর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এনকেফালাইটিস।  মোকাবিলার কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছে না বিহার প্রশাসন।  

ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বিহার। ১০৮ টি শিশুর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এনকেফালাইটিস। ৩০৯ টি শিশু পাঞ্জা লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। ক্রমেই বাড়তে থাকা মৃতের সংখ্যা বুঝিয়ে দিচ্ছে এনকেফালাইটিস মোকাবিলার কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছে না বিহার প্রশাসন। দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্তের বয়েস ১ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। তাদের দাবি পাটনা থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূর মুজাফফরপুর। সেখানে আসতে নীতিশ কুমার সাত দিন সময় নিয়েছেন। সূত্রের খবর এই শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই মারা গিয়েছে ৮৫ জন শিশু। 


এদিন বিহারের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে ঘিরে ধরে প্রবল বিক্ষোভ দেখায় জনতা। প্রসঙ্গত সরকারে তরফে এনকেফালাইটিসে মৃত শিশুর পরিবারের জন্যে চার লক্ষ টাকা করে অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন পাটনা ও মুজাফফরপুরে অবস্থা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র।

Scroll to load tweet…

আরও পড়ুনঃ গরমের দাপটে মৃত ৪০, এনকেফালাইটিসে ৮৩, মহামারির কবলে বিহার

অভিযোগ, প্রথমে শিশুদের এই রোগের দায়ই নিতে চায়নি বিহার সরকার। তাঁদের দাবি ছিল, দেহে শর্করা আচমকা কমে যাওয়ায় শিশুরা মারা যাচ্ছে। আসলে তাপপ্রবহে মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি মিলিয়ে দিতে চাইছিল প্রশাসন। তারপর রীতিমতো চাপে পড়ে প্রশাসন দায় নিতে বাধ্য হয়। অতীতেও এমন মহামারি হয়েছে বিহারে। ২০১১ ও ২০১৫ সালে উঠে এসেছেিল লিচু তত্ত্ব। বলা হয় লিচুর মধ্যে থাকা কোনও বিষাক্ত পোকা থেকেই সংক্রমণ হয় ছোটদের। এবার এখনও কোনও কারণ দর্শাতে পারেনি প্রশাসন। স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রককে নোটিশ দিয়েছে বিহারের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে। বিহার প্রশাসনকে অবস্থা মোকাবিলায় ব্যর্থ বলছে মানবাধিকার কমিশন।