সংক্ষিপ্ত

প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তা বিঘ্নের ঘটনা নিয়ে সরব সব মহল। রোজই একে ঘিরে কোনও না কোনও চাঞ্চল্যকর দাবি উঠছে। রাজনৈতিকভাবে প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের উপরেও। এরমধ্যে অবিজেপি দলের মুখ্য নেতারাও এতে পঞ্জাব সরকারকে তুলোধনা করছেন। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা বিঘ্নকাণ্ডে এবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক প্রাক্তন আইএএস দাবি করলেন, পঞ্জাব পুলিশের নেতৃত্বেই বুধবার ফিরোজপুরে ঢোকার মুখে ফ্লাইওভারে সামনে অবরোধ করেছিল কৃষকরা। তিনি দাবি করেছেন, এই ঘটনা যখন ঘটছিল তখন তিনি সেখানে হাজির ছিলেন এবং নিজে চোখে দেখেছেন পঞ্জাব পুলিশের জঘন্যতম কীর্তি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক ছিল যে বড় ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। মৃত্যু হতে পারতো অনেক মানুষের। দেশ দুনিয়া বলে একটি পাঞ্জাবি নিউজ চ্যানেলকে এমনই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস এসআর লাধর। 

অবসরপ্রাপ্ত এই আইএএস নিজের বক্তব্যে এতটাই প্রত্যয়ী যে তিনি দাবি করেছেন প্রয়োজনে যে কোনও তদন্ত কমিটির সামেন দাঁড়াতেও তিনি প্রস্তুত। তাঁর মতে বুধবার ফিরোজপুর ঢোকার মুখে ফ্লাইওভারের মুখে যা ঘটেছে তাতে আরও বড় কিছু হয়ে যেতে পারতো। বহু মানুষ মৃত্যুর মুখে যেতে পারতেন। তিনি পুরো পরিস্থিতির জন্য পঞ্জাব সরকারকেই ১০০ শতাংশ দায়ী করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত এই আইএএস এস আর লাধর জানিয়েছেন, তিনি নিজে একটা সময়ে ফিরোজপুরের ডিসি ছিলেন। তিনি সেদিন পঞ্জাব পুলিশের কীর্তি দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে কৃষি আইন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাতিল করিয়েছেন। সেই তিনি কৃষকদের স্বার্থের জন্য ফিরোজপুরে সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করতে যাচ্ছিলেন। অথচ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইচ্ছাকৃতভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সভাস্থলে পৌঁছতে দেওয়া হল না। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে দিয়ে এক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এর অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের তত্বাবধানে তদন্ত হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন এস আর লাধর। 

পঞ্জাবের দেশ দুনিয়া বলে একটি সংবাদমাধ্যমকে এই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এস আর লাধর সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যে সেদিন কীভাবে পুলিশের নেতৃত্বে কৃষকদের অবরোধ করতে মদত দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়ের ফ্লাইওভারে ওঠার কিছুক্ষণ আগেই ফিরোজপুরে ঢোকার মুখে, ঠিক ফ্লাইওভারের মুখের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড করে দেয়। এরপরই সেখানে পঞ্জাব পুলিশের স্টিকার লাগানো একটা কালো রঙের ফরচুনা এসে দাঁড়ায়। এই গাড়ির পিছন পিছনে এসে হাজির হয় হাজার হাজার উত্তেজিত কৃষকদের দল। তারা সেখানে দাঁড়িয়ে মোদী বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। ভিড় ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ হালকা লাঠি চার্জ করে। এই সময় সেখানে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যায় পুলিশের স্টিকার সাঁটানো সেই ফরচুনা।