সংক্ষিপ্ত
প্রাক্তন পঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংকে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য এনডিএ-এর প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করানো হতে পারে, শনিবার এক বিশেষ সূত্রে মিলেছে খবর। উল্লেখ্য, মূল সাংবিধানিক পদের জন্য নির্বাচন ছয়ই আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পঞ্জাবে বাড়তে পারে কংগ্রেসের সমস্যা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং যদি তার দল পঞ্জাব লোক কংগ্রেসকে বিজেপির সাথে মিশিয়ে দেন, তবে কংগ্রেসের পক্ষে তার বিধায়ক ও সাংসদদের ঐক্যবদ্ধ রাখা সহজ হবে না। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সংগঠনও দুর্বল হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ এখনও কংগ্রেসে এমন অনেক সাংসদ ও বিধায়ক রয়ে গিয়েছেন, যারা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের অনুগত। অগাষ্ট মাসে উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে সেই বেনোজলদের বের করে দিতে হলে পঞ্জাবে হাত শিবিরকে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় অবস্থায় পড়তে হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও, কংগ্রেস ১৩টির মধ্যে আটটি আসন জিততে সক্ষম হয়েছিল। কেরলের পরে, পঞ্জাব এবং তামিলনাড়ু থেকে দলের সর্বোচ্চ আটজন লোকসভা সাংসদ রয়েছেন। দলের কেরলের লোকসভার ১৫ জন সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যের একজন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা বলেছেন যে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে অনেক সাংসদও পক্ষ পরিবর্তন করতে পারেন।
অনেক বিধায়কও ক্যাপ্টেনের বন্ধু
লোকসভা সাংসদ প্রনীত কৌর ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের স্ত্রী। এ ছাড়া আরও অনেক সাংসদকেও ক্যাপ্টেনের বিশ্বস্ত মনে করা হয়। অনেক বিধায়কের সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে। এমতাবস্থায়, ক্যাপ্টেন যদি তার দলকে বিজেপিতে মিশিয়ে দেন, তবে কিছু লোকসভা সাংসদ ও বিধায়ক হাল ছেড়ে দিতে পারেন। এমনটা হলে রাজ্যে আগামী দিনে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জ বাড়বে।
ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের দল পঞ্জাব লোক কংগ্রেস বিজেপির সাথে মিশে যাওয়ার আগেই দলের অনেক নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুনীল জাখড়। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও জাখরের সুসম্পর্ক ছিল। দলের এক নেতা জানিয়েছেন, ক্যাপ্টেনের মাধ্যমে বিজেপি কংগ্রেস সাংসদ, বিধায়ক ও ভোটব্যাঙ্কের দিকে নজর রাখছে।
উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী অমরিন্দর
প্রাক্তন পঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংকে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য এনডিএ-এর প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করানো হতে পারে, শনিবার এক বিশেষ সূত্রে মিলেছে খবর। উল্লেখ্য, মূল সাংবিধানিক পদের জন্য নির্বাচন ছয়ই আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ ১০ আগস্ট শেষ হবে। মনোনীত সদস্য সহ লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যরা উপ-রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নির্বাচনী কলেজ গঠন করেন।