সংক্ষিপ্ত
গোটা তথ্যই জাল ও ভুয়ো। কারণ বাস্তবে তথাকথিত সমীক্ষাটি আসলে করাই হয়নি এবং কন্নড় প্রভাতে প্রকাশিতও হয়নি। তবু কন্নড়প্রভার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই জাল তথ্য সম্প্রচার করা হচ্ছে।
কর্ণাটকের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি অর্থাৎ বিজেপির হার হবে। এমনই দাবি করে মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইটার সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি জাল নির্বাচনী সমীক্ষা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের প্রকাশনা কন্নড় প্রভাকে জাল সমীক্ষার জন্য দায়ী করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে যে কংগ্রেস ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় ১১৫ থেকে ১২০টি আসন জিতবে। অন্যদিকে বর্তমান শাসকদল বিজেপি পাবে ৬৫ থেকে ৭০টি আসন। তবে এই গোটা তথ্যই জাল ও ভুয়ো। কারণ বাস্তবে তথাকথিত সমীক্ষাটি আসলে করাই হয়নি এবং কন্নড় প্রভাতে প্রকাশিতও হয়নি। তবু কন্নড়প্রভার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই জাল তথ্য সম্প্রচার করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর টুইটারে বলেছেন, "মরে ডুবে যাওয়া কর্ণাটক কংগ্রেসের কৌশল এটা - @kprabhanews নামে জাল সমীক্ষা সহ জাল প্রতিবেদন প্রকাশ করা।"
এশিয়ানেট নিউজের চেয়ারম্যান রাজেশ কালরা বলেছেন যে ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে সাইবার অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।
কন্নড় প্রভা সম্পাদক রবি হেগড়ে স্পষ্ট করেছেন যে পত্রিকাটি জাল প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই জাল সমীক্ষাটি ২০২৩ সালের মে মাসে কর্ণাটক মন্ত্রিসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগে সামনে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির ১১৯টি আসন রয়েছে৷ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরে, কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জোট সরকারে এসেছিলেন, কিন্তু শীঘ্রই সরকার পতন ঘটে। বিজেপি ২০২১ সালে বিএস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। ২০২১ সালের জুলাইয়ে, ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং বাসভরাজ বোমাই মুখ্যমন্ত্রী হন। ২০১৩ ছাড়া, যখন এর সংখ্যা মাত্র ৪০ টি আসন এবং ১৯.৮৯ ভোটের ভাগে নেমে গিয়েছিল, তখন বিজেপি রাজ্যে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কংগ্রেস পার্টির কর্ণাটক ইউনিটের নেতারা প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা নিয়ে দাবি করে আসছেন যে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে দলকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। কিন্তু কীভাবে ভুয়া সমীক্ষা বলা হচ্ছে তা বিবেচনা করে তাদের অন্যান্য দাবির সত্যতাও প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অহেতুক কেন কন্নড়প্রভাকে মিথ্য সমীক্ষার জালে জড়ানো হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে সাইবার অভিযোগ দায়েরের পর তদন্তে ঠিক কি উঠে আসে, তা সময়ই বলবে। তবে সত্য যে সামনে আসবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।