সংক্ষিপ্ত

H3N2 ভাইরাস মারাত্মক নয়, তাই ভয় পাওয়ার দরকার নেই। এই ভাইরাস নিরাময় করা সম্ভব। সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় করা সম্ভব।

সারা দেশ জুড়েই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস H3N2 এর ঝুঁকি বাড়ছে। এখনও অবধি মহারাষ্ট্রে H3N2 সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা ৩৫২। এই ভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে কোভিড-এর মতো ভয় রয়েছে, যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্টভাবে বলেছে যে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। রোগীরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাজ্যেও বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস H3N2 এর ঝুঁকি।

মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তানাজি সাওয়ান্ত বলেছেন যে H3N2 ভাইরাস মারাত্মক নয়, তাই ভয় পাওয়ার দরকার নেই। এই ভাইরাস নিরাময় করা সম্ভব। সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় করা সম্ভব। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে যে হাসপাতালগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে।

পুদুচেরিতেও স্কুল বন্ধ থাকবে

H3N2 ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে, পুদুচেরি সরকার স্কুলগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুদুচেরির শিক্ষা মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্কুলগুলি ২৬ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পুদুচেরিতে মোট ৭৯টি H3N2 ভাইরাসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এটা স্বস্তির বিষয় যে এই ভাইরাসে কেউ মারা যায়নি।

অনেক রাজ্য সতর্ক

উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার রাজ্যে H3N2 ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। শীঘ্রই প্রতিটি জেলায় এর জন্য আলাদাভাবে নোডাল অফিসার মনোনীত করা হবে। অন্যান্য রাজ্যগুলিও এই রোগটিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। অনেক রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সতর্কতা বাড়িয়েছে।

সিজিনাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের সংখ্যা গোটা দেশেই ডিসেম্বর মাস থেকে বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেছিল। সেই বৈঠকেই পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ঋতুগত ঘটনা, এই সময়টা ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব বাড়ে। তবে প্রত্যেক মানুষকেই এইসময়টা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির প্রতি যত্ননিতে হবে। পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিয়ে বাড়ির বাইরে যেতে হবে। কাশি হয়ে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চলতি বছরে ইনফ্লুয়ে়ঞ্জার N1N1 , H3N2 ও অ্যাডিনোভাইরাসের মত ভাইরাসগুলি শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রমিত করছে।

H3N2 ভাইরাসের লক্ষণগুলি কী কী?

জ্বর

গলা ব্যথা

কাশি

সর্দি এবং হাঁচি

ক্লান্তি

পেশী এবং শরীরের ব্যথা

রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্র জানিয়েছে জানুয়ারি থেকেই অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছিল। পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপও বেশি দেখা গিয়েছিল। যে কারণে ইতিবাচক পরীক্ষাও শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই ভাইরাসের কারণে সমস্যায় পড়েছেন বৃদ্ধি ও গর্ভাবতী মহিলারা। পাশাপাশি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরও সমস্যা বাড়ছে। তাই সংশ্লিষ্টদের সাবাধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন,  সংক্রমণ কমানোর জন্য শ্বাসযন্ত্র ও হাতের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। প্রয়োজনে মাস্ক পরতে ও বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাদের ভিড় এড়িয়ে ও যোগাযোগ কমিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।