সংক্ষিপ্ত
হাথরসের ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী ক্ষোভের মধ্যে ঝড় তুলেছে কয়েকটি ছবি
মোদী, যোগী, রাজনাথ সিং-দের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তিকে
দাবি করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি অন্যতম অভিযুক্ত সন্দীপের বাবা
সত্যিই কি তাই, কে ওই ব্যক্তি
উত্তরপ্রদেশের হাথরসের নির্মম ঘটনায় দেশব্যাপী ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারমধ্যেই ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, ছবিগুলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংঃএর সঙ্গে এক ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি হাথরসের গণধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সন্দীপের বাবা। আরও বলা হচ্ছে তিনি বিজেপির শীর্ষনেতাদের তিনি ঘনিষ্ঠ বলেই এখন চার আসামিকে বেঁচে যাবে।
রাজ্য পুলিশ এই মামলার চার অভিযুক্ত - সন্দীপ, রামু, লবকুশ এবং রবি-কে গ্রেফতার করেছিল। তারা বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে। উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক আচরণ অভিযোগের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় যোগী আদিত্যনাথ ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে অভিযুক্তদের সঙ্গে বিজেপি শীর্ষনেতাদের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। সেই ক্ষেত্রে সরাসরি স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন উঠে যায়।
এশিানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে ভাইরাস ছবিগুলি নিয়ে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বিপরীত তথ্য অনুসন্ধান করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে ছবিগুলি ডক্টর শ্যামপ্রকাশ দ্বিবেদি নামে এক ব্যক্তির নামে তৈরি একাধিক ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছিল এবং সন্দীপের বাবা বলে যে ব্যক্তিকে দাবি করা হচ্ছে, তিনিই ফেসবুক পেজ অনুযায়ী ডক্টর শ্যামপ্রকাশ দ্বিবেদি। ফেসবুক পেজগুলিতে ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিজেপির আরও কয়েকজন নেতাদের ছবিও পাওয়া রয়েছে। ফেসবুক পেজ বলছে শ্যামপ্রকাশ দ্বিবেদী উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের এক বিশিষ্ট বিজেপি নেতা, বিজেপি যুব মোর্চার কাশি ইউনিটের সহ-সভাপতি।
কাজেই ওই ব্যক্তি হাতরস মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সন্দীপের বাবা নন। সন্দীপের বাবার নাম নরেন্দ্র বলে জানা গিয়েছে। কাজেই এই ভাইরাল ছবিগুলি অভিযুক্ত সন্দীপের বাবার নয়। তবে শ্যামপ্রকাশ দ্বিবেদি-ও খুব স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নন। জি নিউজ এবং ডিএনএ-র প্রতিবেদন অনুসারে, এই বিজেপি নেতা ২০১৯ সালের একটি গণধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত। ২০১০ সালে এআইমিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির জিভ কেটে নেওয়ার জন্য এক কোটি টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেও সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন শ্যামপ্রকাশ দ্বিবেদি।