সংক্ষিপ্ত

  • লাদাখ চিন মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র ব্যবহার করছে
  • ব্রিটিশ সংবাদপত্রে দাবি চিনা অধ্যাপকের 
  • চিনা অধ্যাপকের দাবি উড়িয়ে দিল ভারত 
  • সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করা হচ্ছে বলে সওয়াল 

পূর্ব লাদখ সেক্টরে চিনা সেনা ভারতীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র ব্যবহার করছে। লাল ফৌজের মূল উদ্দেশ্যই হল প্যাংগং লেক এলাকার দুই ধার থেকে ভারতীয় জওয়ানদের সরিয়ে দেওয়া। এমনই দাবি করেছেন বেজিং-এর রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অথ্যাপক জিন ক্যানরং। ব্রিটেনের প্রথম সারির একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ই তিনি এই  দাবি করেছিলেন। কিন্তু চিনা অধ্যাপকের দাবি মিথ্যা বলেও জানিয়েছে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। 

চিনা অধ্যাপকের দাবি 
ব্রিটেনের সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি  গুলি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক প্লাস রাখা হয়েছে। আর তার ফলে সেখান যারা যারা যাবে তাদের শরীরে জ্বালা আর ব্যাথা অনুভূত হবে। চিনা অধ্যাপক দাবি করছে চিনা সেনারা পাহাড়ের নিচে থেকে একটি মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র চালিয়ে পাহাড়ের চূড়াগুলিতে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে পরিণত করেছিল। অধ্যাপক আরও দাবি করেন যে পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা অস্ত্র ব্যবহারের মাত্র ১৫ মিনিট পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ভারতীয় সেনারা। ভারতীয় জওয়ানরা বমি করতে শুরু করে। পরে ভারতীয় সেনারা বাধ্য হয়েই ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। আর সেই কারণেই কোনও রকম গুলি-বারুদ খরচ না করেই হারানো পাহাড়ের চূড়া পুনরায় চিনা সেনা দখল করে। গত ২৯ অগাস্ট এই জাতীয় হামলা চালান হয়েছিল বলে দাবি করেছেন চিনা অধ্যাপক। কিন্তু তাদের এই দাবি মিথ্যা বলেও জানান হয়েছে। 

ভারতের দাবি 
২৯ অগাস্ট কোনও হামলার কথা স্বীকার করেনি ভারত। তবে ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল সেই সময় চিনা সেনা উস্কানিমূলক ব্যবহার করেছিল। পাশাপাশি ভারতের যুক্ত চিনারা যদি ভারতীয় সেনাদের পাহাড়ের চূড়া থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয় তাহলে কেন তারা ভারতকে উঁচু স্থান থেকে সরে আসতে বলছে। ভারতের দাবি পাহাড়ের চূড়াগুলি এখনও দখলে রেখেছে ভারত। সৈন্য ট্যাঙ্ক, সরঞ্জাম এখনও সেখানে মোতায়েন রয়েছে। একই সঙ্গে ভারতের দাবি ২৯ অগাস্ট বেজিং স্বীকার করেনিয়েছিল। পাশাপাশি সেপ্টম্বরেও বার্তা দিয়ে চিন জানিয়েছিল সীমান্তে দুই দেশের সেনা বাহিনী কঠোরভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ হোক, উস্কানি বন্ধ করে। 

সংশয় 
কিন্তু চিনা অধ্যাপক কেন এমন দাবি করলেন তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। ভারতীয় আধিকারিকরা মনে করছেন, উত্তেজনা ছড়ানোর জন্যই এইজাতীয় মন্তব্য করা হচ্ছে। তবে চিনের এই দাবি পর গুগুলে মাইক্রোওভেব অস্ত্র নিয়ে সার্চ বেড়েছে। যা নিয়ে সঠিক কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।