সংক্ষিপ্ত
- সোশ্যাল মিডিয়ায় আবারও বিকর্তের কেন্দ্রে স্বরা ভাষ্কর
- ঘটিয়া ফোটোশপ বলে একটি ছবি পোস্ট করেন
- পরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলেন ছবিটি
- ছবিতে ছিল দুই মুসলিম যুবক ভাঙচুর করছে শহিদ স্তম্ভে
আবারও বিতর্কে পড়লেন অভিনেত্রী স্বরা ভাষ্কর। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ এই অভিনেত্রী একটি পোস্ট করে। যেথানে দেখানো হয়েছে দুই মুসলিম যুবক ভাঙচুর করছে অমর জওয়ান মেমোরিয়ালে। এক যুবক জওয়ানদের সৌধে পা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর সেই ছবি পোস্ট করে তার ক্যাপশানে অভিনেত্রী লিখেছিলেন যে ঘাটিয়া ফোটোশপ। অর্থাৎ খুব খারাপ ফোটোশফ।
অভিনেত্রী আর কিছু না বললেও বোঝাই যাচ্ছে ছবি দুটি আসল নয় বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। তাঁর বলার উদ্দেশ্য ছিল ফোটেশপের মত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ছবি দুটি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু অভিনেত্রীর দাবি উড়িয়ে দিচ্ছে ফ্যাক্ট চেক টিম। ফ্যাক্ট চেক টিমের দাবি ছবি দুটি আসল।
২০১২ সালের একটি ঘটনার ছবি। ছবি দুটি তোলা হয়েছিল মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানের অমর জওয়ান মেমোরিয়াল থেকে। সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বা নাগরিক সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিল বহু মানুষ। সেই কিছু মুসলিম যুবক উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর চালায় অমর জওয়ান মেমোরিয়ালে। দাঙ্গা বাঁধার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দক্ষিণ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দান এলাকায়। সেই সময় এইট ছবিটি ফেসবুকসহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যা নিয়ে সরব হয় বহু মানুষ। এক নেটিজেনতো সরাসরি বলেছিলেন যিনি শহিদের স্তম্ভে লাথি মারেন তিনি কখন ভারতবর্ষের নাগরিক হতে পারেন?
ফ্যাক্ট চেক টিম আরও তথ্য পেয়েছে, ছবিতে থাকা এক যুবকের নাম আবদুল কাদির ইউনুস আনসারি, যাকে ঘটনার ১৮ দিন পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারি বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর ঘোষণা করেছিলেন অভিযুক্তদের ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকার পুরষ্কার দেওয়া হবে। তাই ছবিটি খুব একটা অপরিচিত নয়। কারণ ছবিটি দেশের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমে ছাপা হয়েছিল। তাই ছবিটি কিছুতে নকল ছবি হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না।
যদিও অভিনেত্রী স্বরা ভাষ্কর তাঁর পোস্টটি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলেছিলেন। কিন্তু তার আগে তিনি মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানের ঘটনার নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে নিজের ভুলও সংশোধন করে নেন।