সংক্ষিপ্ত

দিন কয়েক আগে থেকেই ভিড় কমছিল দিল্লির সীমানা এলাকা। আগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু কৃষক সংযুক্ত মোর্চার ঘোষণা অনুযায়ী এদিনই কার্যকরীভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে কৃষক আন্দোলন। 

শেষ হতে চলেছে কৃষক আন্দোলন (Farmer Protest End)। দীর্ধ ১৫ মাস অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে খালি হতে শুরু করেছে দিল্লির সিংহু টিকরি আর গাজিপুর সীমানা। তিনিটি কৃষি আইন (Farm Law) বাতিল, নূন্যতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে গত ১৫ মাস ধরে অবস্থান বিক্ষোভ (Farmer Protest) করেছিলেন হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ ও রাস্থানের কৃষকরা। সহানুভূতি আদায় করে নিয়েছিলেন দেশের আরও বাকি বেশ কয়েকটি রাজ্যের কৃষকদের। তবে খালিস্থানীয় ও সন্ত্রাসবাদী তকমাও পেয়েছিলেন তারা। যাইহোক সরকারের তাঁদের দাবি মেনে নিয়েছে। আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনটি কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকেই কৃষকরা বিজয মিছিল করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছে একরাশ আনন্দ আর যুদ্ধ জয়ের উচ্ছ্বাস। 

দিন কয়েক আগে থেকেই ভিড় কমছিল দিল্লির সীমানা এলাকা। আগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু কৃষক সংযুক্ত মোর্চার ঘোষণা অনুযায়ী এদিনই কার্যকরীভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে কৃষক আন্দোলন। তবে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আগামী দিনেও তাঁরা বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছেন। যাই হোক দিল্লি সীমানা এলাকায় কৃষকরাই ভেঙে ফেলেছেন তাঁদের অস্থায়ী আবাসগুলি। তুলে নেওয়া হয়েছে সমস্ত লঙ্গরখানা। দীর্ঘ যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে  ট্র্যাক্টর , অথবা গাড়ি করে তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে।

গাজিপুর সীমানায় অবস্থানকারী কৃষকরা এদিন বিজয় দিবস পালন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। আন্দোলনকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। দিল্লির সীমানায় তাঁরা যখন প্রতিকূল আবহাওয়া, পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সরকারি বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের সাহায্য করেছিলেন এলাকার মানুষ। জল, বিদ্যুৎ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এবার সীমানা লাগোয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর সময় এসেছে। বিজয় মিছিল করেই তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্মান জানিয়ে দিল্লি সীমানা থেকে বিদায় নেবেন। অন্যদিকে কৃষকরা যখন ট্র্যাক্টর নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তখন তাদেরও স্বাগত জানানোর জন্য রাস্তার ধারে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। 

শুক্রবারই আন্দোলন শেষ করে কৃষকদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তামিলনাড়ুতে চপার দুর্ঘটনায় সিডিএস বিপিন রাওয়াতসহ ১৩ জনের মৃত্যুর কারণে তা স্থগিত রাখা হয়েছে। কৃষক নেতা ও এসকেএম-এর কমিটির সদস্য শিবকুমার কাক্কা জানিয়েছেন আন্দোলন চলাকালীন যেসব মানুষ কৃষকদের নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করেছিলেন তাদের সকলেই কৃতজ্ঞতা জানান হবে। তাঁদের জন্য এই আন্দোলন অনেক শক্তি পেয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন সহায্যকারীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বাড়ি ফেরার আগে সেইসব মানুষদের সম্মান জানিয়ে ফুল ও মিষ্টি উপহার দিতে চান তাঁরা। তিনি আরও বলেন স্থানীয়া বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ভালো বন্ু হয়েছে। আগামী দিনেও তাঁদের সঙ্গে সংযুক্ত মোর্চা যোগাযোগ রাখতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

তিনি আরও বলেছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা রয়েছেন তাঁরা আন্দোলনকারী কৃষকদের জল, বিদ্যুৎ, খাবার, থাকার জায়গা করে দিয়েছিলেন। শুধু সিংহু নয় দিল্লিরা আরও বেশ কয়েকটি সীমান্ত এজাতীয় অনুষ্ঠান হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অরপ এক কৃষক নেতা সুদেশ গোয়াত বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা এমন সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল যখন সরকার আন্দোলন ভাঙতে একাধিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। কংক্রীট দিয়ে বন্ধ  করে দেওয়া হয়েছিল সীমান্ত। কৃষক নেতারা জানিয়েছেন এই আন্দোলনের সাফল্যের অংশীদার দিল্লির সীমান্তের গ্রাম ও শহরের মানুষও। তাঁরা সাহায্য না করলে এই আন্দোন গত ১৫ মাস ধরে চালানো যেত না বলেও দাবি করেন তিনি। 

Chopper Crash: ৬ সেনা কর্মীর কফিনবন্দি দেহ পৌঁছে যাবে বাড়িতে, চপার দুর্ঘটনায় আহত ক্যাপ্টেনের লড়াই জারি

Omicron Threat: দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্ত আরও ১, তবে করোনার তথ্য পরিসংখ্যানে স্বস্তি

CDS Bipin Rawat: গঙ্গায় অস্থি বিসর্জন, বাবা-মাকে শেষ বিদায় রাওয়াত কন্যাদের