সংক্ষিপ্ত

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে আরও ৬টি দেহ। চিহ্নিত করা গিয়েছে, ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার প্রদীপ, উইং কমান্ডার এস চৌহান, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রানা প্রতাপ দাস, ল্যান্স নায়েক বিসাই তেজা ও স্কোয়াড্রন লিডার কুলদীপ সিং। 

তামিলনাড়ু চপার দুর্ঘটনায় (Tamil Nadu Chpper Crash) নিহত  আরও ছয় নিরাপত্তা কর্মী আধিকারিকের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। শনিবার তাঁদের কফিনবন্দি দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের সদস্যদের হাতে। গত বুধবার তালিমনাড়ুর নীলগিরি পাহাড়ে দুর্ঘটনার কবলে বলে ভারতীয় বায়ু সেনার হেলিকপ্টার এমআই ১৭। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতটাই বেশ ছিল যে প্রথমে মাত্র তিনটিদেহ শনাক্ত করা গিয়েছিল। বিপিন রাওয়াত (CDS Bipin Rwat), তাঁর স্ত্রী মধুলিকা ও ব্রিগেডিয়ার লখবিন্দর সিং লিডার। 

পরবর্তীকালে  ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে আরও ৬টি দেহ। চিহ্নিত করা গিয়েছে, ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার প্রদীপ, উইং কমান্ডার এস চৌহান, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রানা প্রতাপ দাস, ল্যান্স নায়েক বিসাই তেজা ও স্কোয়াড্রন লিডার কুলদীপ সিং। সেনা বাহিনীর সূত্রের খবর সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্মীদের বাড়ির কাছের বিমান বন্দরে বায়ুসেনার বিমানেই তাঁদের পাঠানো হবে। সেখানেই নিহতদের পরিবারে হাতে তুলে দেওয়া হয়ে কফিন বন্দি দেহ। তবে শেষ যাত্রা শুরুর আগে আর্মির বেস হাসপাতালে দুর্ঘটনায় নিহত ৬ নিরাপত্তা কর্মী ও আধিকারিককে শ্রদ্ধা জানান হবে। 

জুনিয়র ওয়ারেন্স অফিসার প্রদীপের দেহ তামিলনাড়ু পৌঁছে গেছে। সুলুর বিমান ঘাঁটি থেকে প্রায় ১২৪ কিলোমিটার দূরে তাঁর শহর ত্রিশুরে নিয়ে যাওয়া হবে জাতীয় পতাকায় মোড়া দেহ। উইংকমান্ডার চৌহানের কফিন বন্দি দেহ গেছে আগ্রায়। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। জুনিয়ার ওয়ারেন্স অফিসার দাসের কফিন যাবে ওড়িশায়। ওড়িশার আঙগ্ুল জেলার গ্রামের বাড়িতে দাহ করা হবে তাঁরে। ল্যান্স নায়ের বিসাই তেজার দেহ বেঙ্গালুরু হবে নিয়ে যাওয়ার হবে অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলায়। ল্যান্স নায়েক কুমারের কফিল পাঠান হবে হিমাচল প্রদেশের গগ্গাল বিমান বন্দরে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কাংড়া জেলায়। স্কোয়াড্রন লিডার কুলদীপ সিং-এক কফিন রাজস্থানের পিানি বিমান বন্দর থেরে ঝুনঝুনজেলার বাড়িতে পৌছে দেওয়া হবে।  

চপার দুর্ঘটনায়এখনও পর্যন্ত ৯ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এখনও ৪ জনের দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে। নিহত নিরাপত্তা কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের থেকেই আগের রক্ত ও প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ভয়ঙ্কর চপার দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত সদস্য ভারতীয় বায়ু সেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। তাঁর চিকিৎসা চলবে বেঙ্গালুরুর সেনা হাসপাতালে। তাঁর অবস্থায় সংকটজনক হলেও স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবারই প্রথা মেনে সম্পন্ন হয়েছে জেনারেল বিপিন রাওয়াত , তাঁর স্ত্রী মধুলিকা ও ব্রিগেডিয়ার লিদারের শেষকৃত্য। 

BSF Issue: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ অত্যান্ত বিপজ্জনক, বিএসএফ ইস্যুতে বললেন রাজ্যপাল
CDS Bipin Rawat: শনিবার রীতি মেনে গঙ্গায় অস্থি বিসর্জন, থাকবেন পরিবারের সদস্যরা

Farmer Protest End: স্থানীয়দের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঘরের পথে কৃষকরা, শনিবারই শেষ ১৫ মাসের আন্দোলন