সংক্ষিপ্ত
আনন্দোলনকারী কৃষকদের পঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যে শম্ভু সীমানা পয়েন্টে কৃষকদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে।
দিল্লির দিকে অগ্রসর হচ্ছে কয়েক হাজার কৃষক। তারা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার জন্য তৈরি। তবে হরিয়ানা ও পঞ্জাবের কৃষকরা এবার আঁটঘাঁট বেঁধেই তৈরি হয়ে আসছে আনন্দোলনের জন্য। তিনটি মূল দাবি- এমএসপি গ্যারান্টির জন্য আইন প্রণয়ন, কৃষি ঋণ মকুব ও স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে আবারও পথে নেমেছে কৃষকরা। তবে দিল্লি পুলিশ আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতিহত করার জন্য কাজ শুরু করেছে।
আনন্দোলনকারী কৃষকদের পঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যে শম্ভু সীমানা পয়েন্টে কৃষকদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে। কৃষকদের 'দিল্লি চলো' অভিযানের অংশ হিসেবে প্রতিটি রাজ্য থেকে কৃষকদের দিল্লিতে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান হয়েছে। দিল্লির একটি মূল মিটিং পয়েন্টও নির্ধারণ করা হবে। সেখান থেকেই আরও বড় অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও দিল্লির সীমানা একালায় একাধিক ব্যারিকেড তৈরি করেছে দিল্লি পুলিশ। কৃষকদের আটকে রাখতে ইতিমধ্যেই সিমেন্টের কংক্রীটও তৈরি করা হয়েছে। যদিও পঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমানা এলাকায় সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। দিল্লি পুলিশ কৃষকদের আটকাতে ক্যাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে। ধোঁয়ায় ঢেকেছে বিস্তৃীর্ণ এলাকা। দৃশ্যমানতা কমেছে অনেক জায়গায়। এদিন দিল্লি পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রথম হিংসার ঘটনা ঘটনা ঘটে দুপুরে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত।
অন্যদিকে আন্দোলনকারী কৃষক সূত্রের খবর এবারই আগামী ৬ মাসে সরদ সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে কৃষকরা। তারা সঙ্গে ৬ মাসের খাবার, জল ও ব্যবহার করার জন্য শৌচাগার সঙ্গে নিয়েই দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। কৃষকদের দাবি আগের আন্দোলনের সময় তাদের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেগুলি পুরণ হয়নি। তাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। এর আগে ২০২০ সালে এই তিনটি দাবিতে দিল্লির সীমানা এলাকায় টানা ১৩ মাস ধরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিল। কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছে তাদের দাবি পুরণ না হওয়া মত তারা বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তারা কোনও বাধাই মানবে না।
কৃষকরা জানিয়েছে, এবার তাদের সঙ্গে সুচ, হাতুড়ি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী রয়েছে। পাথর ভাঙার সরঞ্জামও তাদের সঙ্গে রয়েছে। কৃষকরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে এবার কিছুতেই তাদের প্রতিহত করা যাবে না বলেও জানিয়েছে।