সংক্ষিপ্ত
যন্তর মন্তরে কোভিড বিধি মেনে আন্দলোন শুরু করল কৃষকরা। সেই দিনই কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনায় প্রস্তুত।
বাদল অধিবেশনে কিছুটা হলেও পঞ্জাবসহ একাধিক রাজ্যের আন্দোলনকারী কৃষকরা চাপ বাড়াল মোদী সরকারের ওপর। সংসদে আর সংসদের বাইরে ক্রমশই জোরাল হচ্ছে কৃষক আন্দোলব। এদিন সংসদের প্রবেশ দারে পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দল প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সামনেও তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যদিও বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁরা আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রয়েছে মোদী। আগেও তাঁরা তিনটি কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা করেছে। তিনি আরও বলেন দেশের অধিকাংশ কৃষকই বুঝতে পেরেছে এই তিনটি কৃষি আইনের গুরুত্ব কতটা অপরিসীম।
মাতাল স্বামীর হাত থেকে বাঁচানো ১৩ হাজার টাকা গেল হাতির পেটে, জমাপুঁজি হারিয়ে মাথায় হাত স্ত্রীর
Shocking news, মাকে খুন করে পাশে বসে রক্ত মেখে পুতুল খেলছে ২ বোন
কোভিড ১৯এর মধ্যেই মারাত্মক আকার নিচ্ছে কালো ছত্রাক, মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ
যদিও নির্ধারিত সূচি মেনেই এদিন বেলা এগারোটা থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে আন্দোলন শুরু করেছেন প্রতিবাদী কৃষকরা। তবে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের মত ঘটনা এড়াতে এবার আন্দোলনকারী কৃষকরা অনেক বেশি সচেতন। তাঁরা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চারটি নির্ধারিত বাসে করেই দিল্লির অন্দরে প্রবেশ করেন। বিক্ষোভ দেখান দিল্লির যন্তর মন্তরে। প্রথমে রাজি না হলেও রাতের দিকে দিল্লি পুলিশ কৃষকদের কোভিড ১৯ প্রোটোকল মেনে আন্দোলনে ছাড়পত্র দিয়েছে। অশান্তি আর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে দিল্লি পুলিশ। ২২ জুলাই থেকে ৯ অগাস্ট বেলা ১১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ২০০ কৃষক প্রতিবাদে সামিল হতে পারবেন বলে জানিয়েছে দিল্লির সরকার।
অন্যদিকে দিল্লির প্রতিবাদী কৃষকনেতারাও আশঙ্কা করছেন তাঁদের আন্দোলন ভাঙতে ইজরায়েলের সফটওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে করতে পারে। সেই অভিযোগ তুলে আন্দোলনকারী কৃষক নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। মোদী সরকারকে অনৈতিক সরকার বলে তোপ দগেন। আন্দোলনকারী কৃষকরা আগেই জানিয়েছেন তাঁরা চান বাদল অধিবেশনের সময় তিনটি কৃষি আইন আর এমআরপি ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়াতেই তাঁরা দিল্লির অন্দরে প্রবেশ করে প্রতিবাদের কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।