সংক্ষিপ্ত
মাকে খুন করে দুই বোন পুতুল খেলছিল। বাড়িতে ঢুকে এই দৃশ্য দেখে রীতিমত হতাশ হয়ে পড়েন পুলিশকর্মীরা। মাকে খুনের কথা স্বীকারও করেছেন দুজন।
থ্রিলার সিনেমাকেও হার মানা। রক্তে ভেজা মায়ের দেহ পড়ে রয়েছে বিছানায়। যাতে পচন ধরতে শুরু করেছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সেই বিছানায় বসে বসে দুই বোন পুতুল নিয়ে খেলছে। একে অপরকে বিস্কুট খাইয়ে দিচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে মৃতদেহ উদ্ধার করতে আসা পুলিশও হতভম্ব হয়ে গেছে। তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলি জেলার বাসিন্দারাও এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন। দুই বোন অবশ্য পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁরাই তাঁদের মাকে হত্যা করেছে।
সাইকেলে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন BDO সাহেব, চোখ কপালে উঠেছে চন্দ্রকোনার বাসিন্দাদের
মৃত মহিলার নাম উষা। স্বামী পরিত্যক্তা। দীর্ঘ দিন ধরেই বছর কুড়িই দুই মেয়েকে নিয়ে পিয়ামকেটাইয়ের কেটিসি নগরে থাকতেন। স্কুল পড়ুয়াদের গৃহশিক্ষকতা করে কোনও রকমে সংসার চালাতেন উষা। মঙ্গলবার সকালে উষা বাড়ি থেকে বার হননি। জানলা দরজা সব বন্ধ ছিল। দুর্গন্ধও ছড়িয়ে পড়েছিল। কিছু একটা ঘটেছে- এটা মনে করে প্রতিবেশীরা। স্থানীয়রাই খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে উদ্ধার করে উষার নিথর দেহ।
মাতাল স্বামীর হাত থেকে বাঁচানো ১৩ হাজার টাকা গেল হাতির পেটে, জমাপুঁজি হারিয়ে মাথায় হাত স্ত্রীর
তবে এই কাজটা খুব একটী সহজে হয়নি। প্রথমে দুই বোন দরজা খুলতে চায়নি। পুলিশ দীর্ঘ সময় জানলা দিয়ে কথা বলে। তারপরই তারা দরজা খুলে দেয়। সেই সময় পুলিশ দেখে খাটের ওপর পড়ে রয়েছে উষার রক্তাক্ত দেহ। তারপারেই দুই বোন পুতুল খেলছিল। দুই বোনের জামাকাপড়েও রক্ত লেগেছিল। পুলিশ জানিয়েছে দুই বোনই স্বীকার করে নিয়েছে তারাই তাদের মাকে হত্যা করেছে। একজন মাকে লাঠি দিয়ে মেরেছিল। আর অন্যজন ছুরি দিয়ে কোপায়। কিন্তু কেন তারা মাকে খুন করেছে তা অবশ্য বলেনি কেউই। পুলিশ জানিয়েছে দুই বোনই মানসিকভারসাম্যহীন। চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
কোভিড ১৯এর মধ্যেই মারাত্মক আকার নিচ্ছে কালো ছত্রাক, মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ
উষার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। বোনেদের পাঠান হয়েছে হোমে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন মানসিকভারসাম্য দুই মেয়েকেই আকড়ে বেঁচেছিলেন উষা। দুই মেয়ের জন্মের পরই স্বামী তাঁদের রেখে অন্যত্র চলে যান। কোনও রকম খোঁজ খবর নিতেন না। কিন্তু মেয়েদের হাতেই বেঘোরে উষার প্রাণ যাবে তা তারা কোনও দিনও ভেবে পাননি।