সংক্ষিপ্ত

মহারাষ্ট্রের এক গর্ভবতী মহিলার গর্ভে থাকা ভ্রূণের মধ্যে আরও একটি ভ্রূণ পাওয়া গেছে। সোনোগ্রাফি করার পর রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরাও হতবাক হয়ে গেছেন।

 মহারাষ্ট্রের বুলধানায় এক বিরল ঘটনা ঘটেছে। এখানকার এক গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে গেলে তার পেটে থাকা বাচ্চার পেটেও একটি ভ্রূণ পাওয়া যায়। এই গর্ভাবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘ফিটাস ইন ফিটু’ বলা হয়। ফিটাস ইন ফিটু একটি বিরল অবস্থা যেখানে একটি বিকৃত ভ্রূণ অন্য ভ্রূণের মধ্যে থাকে। এই ঘটনাটি তখনই সামনে আসে যখন তিন দিন আগে বুলধানা জেলার হাসপাতালে এক গর্ভবতী মহিলা সোনোগ্রাফি করাতে আসেন।

বাচ্চার পেটে ভ্রূণ

চিকিৎসকরা মহিলার সোনোগ্রাফি করার পর বাচ্চার পেটে ভ্রূণ থাকার বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এর ফলে চিকিৎসকরা কোনও গাফিলতি না করে মহিলার প্রসব করানোর চেষ্টা করছেন। হাসপাতালের প্রসুতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রসাদ আগরওয়াল বলেছেন যে, ভ্রূণের মধ্যে ভ্রূণ থাকা একটি বিরল ঘটনা। এই অবস্থা পাঁচ লক্ষে একজনের মধ্যেই দেখা যায়।

 

 

বিশ্বে মাত্র ২০০ টি ঘটনা

ডাঃ প্রসাদ আগরওয়াল বলেছেন যে, সমগ্র বিশ্বে এই ধরনের মাত্র ২০০ টি ঘটনা সামনে এসেছে। এর মধ্যে ভারতের ১০-১৫ টি ঘটনা রয়েছে। চিকিৎসকরা আরও বলেছেন যে, আমি এই ভ্রূণে কিছু অস্বাভাবিক জিনিস দেখেছি। আসলে, বাচ্চাটি ৩৫ সপ্তাহের। এই অবস্থা দেখে প্রথমে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, মহিলার নিরাপদ প্রসবের জন্য এবং পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য তাকে ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।