সংক্ষিপ্ত
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখার সময় এই বিষয়ে মন্তব্য করেন।
দেখতে দেখতে তিন বছর হয়ে গেল, রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর। পাশাপাশি ৩৭০ ধারাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি দেশ জুড়ে একটাই প্রশ্ন কবে থেকে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে একটি বড় ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। শনিবার একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্র - রাজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপন করেন। যা ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্রুত রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
শমিবার কেরলের তিরুবন্তপুমণে 'কোঅপরেটিভ ফেডারেলিজম' বিষয়ে একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নির্মলা সীতারমণ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪-২০১৫ সালে ১৪তম অর্থ কমিশনের সুপারিশ গ্হণ করেছিলেন। ১৪তম ফিনান্স কমিশন ২০১৪ সালে একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল- রাজ্যগুলির সংগৃহীত করের সমস্ত করের ৩২-৪২ শতাংশে পরিবর্তন করতে হবে। সব একযোগে পরিবর্তন করতে হবে। তারপরই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এর কার্যকরী অর্থ হল কেন্দ্রের হাতে কম পরিমাণ অর্থ থাকবে। মোদী এই সম্পর্কে কোনও দ্বিধা না রেখে এক কথায় পাস করে দিয়েছিলেন অর্থ কমিশনের সুপারিশ।
তারপরই নির্মলা সীতারমণ বলেন, এই কারণেই আর রাজ্যগুলি পরিমাণের ৪২ শতাংশ পায়। এখন অবশ্য ৪১ শতাংশে তা নেমে এসেছেন। কারণ জম্মু ও কাশ্মীর আর এখন রাজ্য নয়। তবে এটি খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
নির্মলা সীতারমণের মন্তব্যের পরই জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার বিষয় নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরও বিধানসভা নির্বাচনের প্রত্যাশায় দিন গুণছে। সেখানেই নির্বাচনের প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠুভাবে করা যায় তার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা রোধ করার পর দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। একটি জম্মু ও কাশ্মীর। অন্যটি লাদাখ। জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া কথা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছিল। কিন্তু এখনও জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট না হওয়ায় কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসেবেও রয়েছে সেটি। যা নিয়ে রাজ্যবাসীর মধ্যে উষ্মা রয়েছে। পাশাপাশি এই রাজ্যে বাড়ছে জঙ্গি হানার ঘটনা। গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। এই অবস্থায় শান্তিতে ভোট করা কিছুটা হলেও কঠিন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।
আরও পড়ুনঃ
গ্লোবাল টেকনোলজি সামিটে যোগ দেবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, শুরু হবে ২৯ নভেম্বর
গাড়ি দুর্ঘটনায় সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যু, মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের