সংক্ষিপ্ত
উসকানিমূলক মন্তব্য করে ছাড় পেলেন না মুখ্যমন্ত্রীর বাবা। ভুপেন্দ্র সিং বঘেলের বাবার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল ছত্তিশগড় পুলিশ।
তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাবা। কিন্তু, তাই বলে কোনও ছাড় পেলেন না। তাঁর বিরুদ্ধেও উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে এফআইআর দায়ের করল ছত্তিশগড় পুলিশ। ব্রাহ্মণদের বয়কট করার কথা বলেছিলেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্রসিং বঘেলের বাবা নন্দকুমার বঘেল। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিল রাজ্য প্রশাসন। স্বজন পোষণের এই সময়ে, যখন শাসক দলের নেতাদের সাত খুন মাফ হয়ে যাচ্ছে, তখন এই ঘটনা এক নজির বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে এক জমসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নন্দ কুমার বঘেল বলেছিলেন, 'আমি ভারতের সমস্ত গ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ব্রাহ্মণদের আপনার গ্রামে ঢুকতে দেবেন না। আমি অন্য সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলব, যাতে আমরা তাদের বয়কট করতে পারি। তাদের ভলগা নদীর তীরে ফেরত পাঠানো দরকার'
শনিবার, তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে 'সর্ব ব্রাহ্মণ সমাজ', ডিডি নগর থানায় নন্দ কুমার বঘেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ছত্তিশগড়ের পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর বাবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শত্রুতা তৈরি, আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করে।
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল বলেছেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নন। তাঁর সরকার সবার জন্য। তিনি আরও বলেন, 'আমার ৮৬ বছরের বৃদ্ধ বাবাও আইনের ঊর্ধ্বে নন। প্রত্যেক ধর্ম, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় এবং তাদের অনুভূতিকে সম্মান করে ছত্তিশগড় সরকার। আমার বাবা নন্দকুমার বঘেলের একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন, যাতে সাম্প্রদায়িক শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে। আমি তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখিত।'
ছত্তিশগড়ের কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীর বাবা গোটা দেশে কৃষক নেতা এবং ওবিসি নেতা হিসেবেই পরিচিত। ভূপেশ বঘেল বলেছেন, ছেলে হিসেবে তিনি অবশ্যই তাঁর বাবাকে সম্মান করেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ভুলকে ক্ষমা করা যায় না। কারণ তাঁর মন্তব্য আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারত। তিনি আরও দাবি করেছেন যে বাবা এবং তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্বাস সম্পূর্ণ আলাদা।