সংক্ষিপ্ত

পঞ্জাবে (Punjab) পিএম মোদীর (PM Modi) নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় তোলপার গোটা দেশ। ঘটনার পর সক্রিয়তা বেড়েছে খালিস্তানি পন্থীদের (khalistani separatists)। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয় ফেড ভিডিও। যেই ঘনায় এফআইআর (FIR)দায়ের করে শুরু হয়ছে তনন্ত। 
 

পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী মোীর (PM Modi) নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পর থেকেই খালিস্তানি পন্থীরা (Khalistani Separatists)নানাভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বদনাম করতে উঠে পড়ে লাগে। একাধিক ফেক নিউজ,ফেড ভিডিও (Fake Video), ফেক অডিওর সহায়তা নিয়েো তারা কেন্দ্রীয় সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।  এমনইএক মর্ফ্ড ভিডিও কাণ্ড সামনে আসে শুক্রবারা। যেই ভিডিও তে যে অডিও ছিল তাও যথেষ্ট কাঁপা-কাঁপা এবং পরিস্কার নয়। এই মর্ফড ভিডিও-টি আপলোড করার সময় ক্যাপশনে লেখা হয় যে ভারত সরকারের দুই বিশিষ্ট মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং এস জয়শঙ্কর নাকি সেনাবাহিনী থেকে শিখদের ছেঁটে ফেলার কথা বলেছেন। আর তাঁরা এই প্রস্তাব নাকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির বৈঠকে দিয়েছেন। যদিও সেই ভিডিও যে ফেক তা প্রমাণ হতে বেশি সময় লাগেনি। এবাই এই ঘটনায় নেওয়া হল আইনি পদক্ষেপও।

ফেক ভিডিও কাণ্ডে শুরু হয়েছে তদন্ত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়ে গিয়েছে। ১৫তএ আইপিসি ধারা দেওয়া হয়েছে। কারণ খালিস্তানিপন্থীরা এই ভিডিও শেয়ার করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই কারণে মোটেই বিষয়টিকে হাল্কাভাবে নেওয়া হচ্ছে না। ঘটনার পেছনে কে বা কারা জড়িত রয়েছে সেই সত্য সন্ধানেরও চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারী অফিসারেরা। একইসঙ্গ এই জাল ভিডিওটি তৈরি করতে যে ফুটেজ ব্যবহার করা হয়ছে সেটি কবের ভিডিও তাও জানিয়েছেন ডিসিপি, আইএফএসও, বিশেষ সেল কেপিএস মালহোত্রা। তিনি জানিয়েছেন, এই ভিডিওটি ৯ ডিসেম্বর ২০২১-এর। যখন কপ্টার দুর্ঘটনায় সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্যু ঘটছিল ও জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভা। 

 

 

প্রসঙ্গত, বুধবার পঞ্জাবের ভাটিন্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্ত বিঘ্নিত হয়। বিক্ষোভের মুখে একটি ব্রিজের উপর প্রায় ২০ মিনিট আটকে যায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। একপরই পঞ্জাব সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠে যায় প্রশ্ন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভাটিন্ডা থানার এসসএসপিকে শোকজ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ঘটনার  পর থেকেই খালিস্তানি পন্থীরা এই ফেক  ভিডিও শেয়াক করে। এই মর্ফড ভিডিও পোস্ট সকলের নজরে আসতেই কড়া প্রতিক্রিয়া শুরু হয় ভারত সরকারের অন্দরমহল থেকে সেনাবাহিনীতে। ভারত সরকারের একটি সূত্রে কড়াভাবে এই ভিডিও-কে ফেক বলে জানিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই সঙ্গে দেশবাসীকে এই ধরনের ফেক ভিডিও এবং ফেক নিউজ থেকে নিজেদের সচেতন থাকার আর্জিও রাখা হয়।