সংক্ষিপ্ত
অঙ্গ প্রতিস্থাপনে সময়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে রাজস্থান সরকার প্রথমবার হেলিকপ্টার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জয়পুর এবং যোধপুরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনকে দ্রুত এবং কার্যকর করার লক্ষ্যে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঝালাওয়ার থেকে জয়পুর এবং যোধপুর পর্যন্ত যাত্রা শনিবার সকালে এসএমএস মেডিকেল কলেজ, জয়পুরের ডাক্তারদের একটি দল হেলিকপ্টারে ঝালাওয়ার রওনা হন। অঙ্গ প্রতিস্থাপন কর্মসূচির নোডাল অফিসার ডাঃ মনীষ আগরওয়াল জানিয়েছেন, দলটি সকাল সাড়ে আটটায় উড়ান শুরু করে। ঝালাওয়ার থেকে অঙ্গগুলি জয়পুরে আনার পর জয়পুর থেকে যোধপুর পর্যন্তও হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে। হেলিকপ্টারটি সকাল সাড়ে নয়টায় ঝালাওয়ার থেকে উড়ে সকাল সাড়ে দশটার দিকে জয়পুর পৌঁছায়।
জীবিত যুবকের হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, লিভার এবং কিডনি দান করা হল
দাতা ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, যিনি ১০ ডিসেম্বর একটি আক্রমণে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। ১১ ডিসেম্বর তাকে ঝালাওয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু চিকিৎসা সত্ত্বেও তিনি কোমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। তার পরিবার হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, লিভার এবং কিডনি দান করার সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়।
শরীর ছাড়াই হেলিকপ্টারে যাত্রা করবে শরীরের অঙ্গ
অঙ্গগুলির বিতরণ এবং প্রতিস্থাপন জয়পুরের এসএমএস মেডিকেল কলেজে হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস এবং একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য রাখা হবে। অন্যদিকে, লিভার এবং একটি কিডনি যোধপুর এইমসে পাঠানো হবে। যোধপুরের দল ঝালাওয়ার থেকে জয়পুর পর্যন্ত এসএমএস টিমের সাথে হেলিকপ্টারে যাত্রা করবে এবং জয়পুর থেকে যোধপুরের জন্য অঙ্গগুলি নিয়ে রওনা হবে।
রাজস্থানে এই উদ্যোগে অনেকে পাবেন জীবনদান
সময় বাঁচানোর ফলে রোগীরা জীবনদান পাবে। রাজস্থানে এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল সময়মতো অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিশ্চিত করা। হেলিকপ্টার ব্যবহারের ফলে অঙ্গ পরিবহনের সময় কমবে, যার ফলে রোগীরা দ্রুত জীবনদান পাবেন। এটি রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ এবং এর ফলে গুরুতর পরিস্থিতিতে রোগীদের জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।