সংক্ষিপ্ত


ভারী বৃষ্টিতে ভেসে গেল হায়দরাবাদ

ভারী বর্ষণ হয়েছে পুরো তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রেও

বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এসেছে

আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়তে পারে

প্রায় ২৪ ঘন্টা ভারী বৃষ্টিপাতে ভেসে গেল হায়দরাবাদ। শহরের বিভিন্ন স্থান জলমগ্ন, এমনকি গাড়ি ভেসেও যেতে দেখা গিয়েছে। শুধু হায়দরাবাদ নয়, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকাতেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, আগামী ২৪ ঘন্টায় বর্ষণেকর মাত্রা বাড়বে বলেই সতর্ক করা হয়েছে।

সরকারী তথ্য অনুসারে মঙ্গলবার সকাল ৮.৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্য়েই হায়দরাবাদ শহরের বেশিরভাগ এলাকায় গড়ে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বনস্থলীপুরম, আটাপুর মেইন রোড, মুশিরাবাদ ইত্যাদি নিচু এলাকাগুলির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। টলি চৌকি এলাকায় জলে আটকে পড়া বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করতে দেখা গিয়েছে রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী ও দমকল বাহিনীর সদস্যদের। দাম্মাইগুড়া এলাকায় জলের তোড়ে একটি গাড়ি ভেসে যেতে দেখা যায়।

তেলেঙ্গানা রাজ্যের সব জেলা প্রশাসনকে আগামী ২৪ ঘন্টা সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তেলেঙ্গানার মুখ্য সচিব অনেক সোমেশ কুমার জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। হায়দরাবাদের বান্দলগুড়া এলাকায় একটি বাড়ির উপর একটি বড় বোল্ডার এসে পড়ে। ওই ঘটনায় ১ শিশুসহ মোট ৮ জনের মৃত্ু হয়েছে। আরও ৩ জন আহত হয়েছেন।

রাজ্যের এনফোর্সমেন্ট, ভিজিলেন্স এবং দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের ডিরেক্টর জানিয়েছেন শহরের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। খুব প্রয়োজন না হলে আগামী ২৪ ঘন্টা রাজ্যবাসীকে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ পরের কয়েক ঘন্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের মাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলার বিভাগের প্রায় ১৯ টি ডিআরএফ দল রবারের ডিঙি ও আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে কতাজে নেমে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বুধবার সকাল ১১ হিমায়াত সাগর জলাশয়ের লকগেট খোলা হবে। তাতে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে। কিন্তু এছাড়া উপায় নেই।

এদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলাতেও সোমবার রাত থেকেই অবিচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বেশ কয়েকটি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হরেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পেনুগানচিপ্রোলু জলাদারের জল উপচে গিয়েছে। যার ফলে "ভাতসাভাই এবং পেনুগানচিপ্রোলু মণ্ডল নামে দুটি গ্রাম পুরোপুরি জলে ডুবে গিয়েছে।  

অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী আরেক রাজ্য ওড়িশাতেও  ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যার জেরে গজপতি জেলার অন্তত ১২ টি গ্রাম থেকে পাঁটশোরও বেশি মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।