সংক্ষিপ্ত
- সুস্মিতা মোহান্তিকে বলা হয় ভারতের স্পেসওম্যান
- মহাকাশে থাকার জায়গা, স্পেসস্যুট ইত্যাদি নকশা করেন তিনি
- ভারতের প্রথম স্পেস-টেকনোলজির স্টার্টআপ সংস্থা খুলেছেন তিনি
- তাঁর মতে তিন দশকের মধ্য়েই হাতের মুঠোয় চলে আসবে মহাকাশ ভ্রমণ
গত ১৫ বছর ধরে মহাকাশে থাকার সাজ সরঞ্জাম বানান তিনি। মহাকাশে থাকার জায়গা, রোভার্স, স্পেস স্যুট, প্রোটোকল ইত্যাদি নকশা করেন তিনি। তবে বর্তমানে শুধু মহাকাশে নয়, পৃথিবীকেও বাসযোগ্য করে তোলার পথে যে যে চ্যালেঞ্জ আসে, সেই সবের সমাধান করে থাকেন তিনি। বিবিসি সম্প্রতি তাদের সেরা ১০০ জন প্রভাবশালী মহিলার তালিকাতেও তাঁকে রেখেছে। ভারতের স্পেসওম্যান নামে পরিচিত, প্রথম স্পেস স্টার্ট-আপ গড়ে তোলা সুস্মিতা মোহান্তি বলছেন, অল্প দিনের মধ্যেই হাতের মুঠোয় চলে আসবে মহাকাশে ভ্রমণ।
গত শতাব্দীতে বিমানে ভ্রমণ সমাজের মূলধারায় ডুকে পড়েছে। বিমানে যাতায়াত আর কোনও বিশেষ বিষয় নয়। এই বানিজ্যিক বিমানগুলি যাতায়াত করে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার উপর দিয়ে। আর মহাকাশকে ধরা হয় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে। সুস্মিতা মোহান্তির মতে আর কয়েক বছরের মধ্যেই বেসরকারি বানিজ্যিক উড়ানগুলির মতোই বেসরকারি মহাকাশ ভ্রমণও সমাজের মূলধারায় এসে যাবে।
তাঁর মতে পকেটে পয়সা থাকলেই সামনের কয়েক বছরের মধ্য়েই পৃথিবীর নিচু কক্ষপথে মহাকাশে পারি দিতে পারবেন যে কেউ। আর দশক তিনেক গেলে এই খরচটা নেমে আসবে একটা এসইউভি গাড়ি কেনার দামের মধ্য়ে।
তবে অল্প সময়ের জন্য বেসরকারি মহাকাশ ভ্রমণ কিন্তু ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০০৪ সালে এরোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ার বার্ট রুটানের তৈরি স্পেসশিপওয়ান নামে হাল্কা মহাকাশ বিমানে করে তিনজন যাত্রী এক সপ্তাহে দুইবার মহাকাশ ছুঁয়ে ফিরে এসেছিলেন। ২০০৬ সালে আনাশেহ আনসারি প্রথম নিজের খরচে যাওয়া মহিলা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টেশনে গিয়েছিলেন।
এক প্রাক্তন ইসরো বিজ্ঞানীর মেয়ে হিসেবে ইসরো-র মহাকাশ অভিযান একেবারে জন্মলগ্ন থেকেই দেখেছেন সুস্মিতা মোহান্তি। আগে নাসা ও বোয়িং সংস্থায় তিনি কাজ রতেন। ২০০১ সালে লস এঞ্জেলেস-এ মুনক্র্যাফ্ট নামে নিজস্ব সংস্থা গড়ে তোলেন তিনি। ইসরো যেভাবে মহাকাশ অভিযানে এগিয়ে আসছে তাতে মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সাফল্য নিয়ে দারুণ আশাবাদী ভারতের স্পেসওম্য়ান।