সংক্ষিপ্ত

১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা
আমদানী বন্ধ হচ্ছে অ্যাসল্ট রাইফেল আর আর্টিলারি বন্দুকের
আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের ওপর জোর দিতেও এই সিদ্ধান্ত 
দেশীয় প্রযুক্তিতেই উৎপাদন করা হবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম 

আত্মনির্ভর ভারত তৈরির লক্ষ্য ১০১টি সামগ্রী আমদানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেশীয় কারখানাগুলিতে উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়ার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির কথা বলছেন। আর সেই আর্থনৈতিক উন্নয়নে জোর দেওয়ার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

১০১টি নিষিজ্ঞ হওয়া প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে, আর্টিলারি বন্দুক, যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় হালকা হেলিকপ্টার, অ্যাসল্ট রাইফেলস করভেটস, রেডার, চাকাযুক্ত আর্মাড ফাইটিং ভেহিকেলস, পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় বিমান। এছাড়াও একাধিক  অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্রের আমদানীর ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে। আগামী দিনে দেশীয় প্রযুক্তিতে এই জাতীয় অস্ত্র বা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। 

দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় আবারও রেকর্ড ভারতের, করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২১ লক্ষ পার করল...

হোটেলের মধ্যে অগ্নিগদ্ধ হয়ে মৃত্যু ৭ করোনা রোগীর, গুজরাতের স্মৃতি ফিরে এল অন্ধ্র প্রদেশে...


রাজনাথ সিং আরও জানিয়েছেন  ২০১৫-এর এপ্রিল থেকে ২০২০ অগাস্ট পর্যন্ত ২৬০টি ত্রিস্তরীয় সংস্থা দ্বারা অনুমানিক ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যায়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।  আগামী ৬-৭ বছর  ৪ লক্ষ কোটি টাকার দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন করার জন্য লগ্নি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 


এরমধ্যে বিমান বাহিনী ও  সেনাবাহিনীর জন্য প্রায় ১.৩ লক্ষ কোটি টাকার সামগ্রী আর নৌবাহিনীর জন্য ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার সামগ্রী বরাদ্দ করা হয়েছে। 


রাজনাথ সিং জানিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।  তিনি আরও জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তটি ভারতকে প্রতিরক্ষায় শিল্পকে নিজস্বতা দেবে। প্রতিরক্ষা শিল্পে গবেষণা আর উদ্ভাবনের জন্য সহযোগিতা করতে ডিআরডিও। উৎপাদনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।