সংক্ষিপ্ত
মিডিয়া কনক্লেভে ভাষণ দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ২০২০ সাল থেকে এলএসিতে চীনা সেনার সংখ্যা বেড়েছে। সেজন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীও ব্যাপক পরিসরে সেনা মোতায়েন করেছে।
অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে চীনা সেনা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে রাজনীতি উত্তপ্ত। এই ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লাগাতার নিশানা করছেন সরকারকে। এখন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে নীরবতা ভেঙেছেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে, এলএসিতে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনা।
একটি মিডিয়া কনক্লেভে ভাষণ দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ২০২০ সাল থেকে এলএসিতে চীনা সেনার সংখ্যা বেড়েছে। সেজন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীও ব্যাপক পরিসরে সেনা মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, চীনের একতরফা পরিবর্তনের যে কোনো প্রচেষ্টা মোকাবেলায় আমাদের সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এটা ভারতীয় সেনাবাহিনীরও কর্তব্য।
রাহুল গান্ধীর দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয়
বিদেশমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার চীন ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয়। উল্লেখ্য, জয়পুরে ছিলেন রাহুল গান্ধী। ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকদের বলেন, তিনি জানতেন ভারতীয় মিডিয়া তাঁকে অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াং নিয়ে একটিও প্রশ্ন করবে না। কারণ সেখানে চিনা সেনারা ভারতীয় সেনাদের সীমান্ত পার করে এসে মারধর করে যাচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপি এই বিষয় নীরব। তারা সংসদেও এই বিষয়ে আলোচনা চায় না। কেন্দ্রীয় এই বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের মারধর করা হচ্ছে।
পাল্টা জবাব দেন অনুরাগ ঠাকুরও
এর আগে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। তিনি সোমবার বলেছিলেন যে তাওয়াং ইস্যুতে আমাদের প্রশ্ন করার আগে রাহুল গান্ধীর রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন সম্পর্কে উত্তর দেওয়া উচিত। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন চীন থেকে অর্থায়ন পায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঠাকুর। ঠাকুর এখানেই থেমে থাকেননি, তিনি বলেন, ডোকলামে যখন ভারতীয় সেনা চিনা সেনাদের সঙ্গে লড়াই করছিল, তখন রাহুল গান্ধী চিনা অফিসারদের সঙ্গে ছিলেন।
গৌরব ভাটিয়ার মন্তব্য
ভারতীয় জনতা পর্টির মুখপত্র গৌরব ভাটিয়াও রাহুল গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেছেন, রাহুল গান্ধীর হাতের রিমোট কন্ট্রোলে চলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। যদি তাই না হত তাহলে রাহুল গান্ধী অরুণাচলপ্রদেশে ভারতীয় সেনাদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তারপর তাঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করে দিত কংগ্রেস। তিনি আরও বলেছেন, দেশের প্রধান বিরোধী দল বর্তমানে দেশের শক্রপক্ষের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা দেশের সেনা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, গৌরব ভাটিয়া রাহুল গান্ধীকে কনৌজের রাজা জয়চাঁদের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ইতিহাস অনুযায়ী ব্রিটিশদের পক্ষে গিয়ে ভারতীয়দের চূড়ান্ত ক্ষতি করেছিল। রাহুল গান্ধীর এজাতীয় মন্তব্যের জন্য কংগ্রেস নেতাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।