সংক্ষিপ্ত

  • আটক করা হল প্রাক্তন আইএএস অফিসার শাহ ফয়জলকে
  • তিনি জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট পার্টির নেতাও বটে
  • ইস্তানবুল যাওয়ার পথে দিল্লি বিমান বন্দর থেকে তাঁকে আটক করা হয়
  • তাঁকে শ্রীনগরে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে গৃহবন্দী করা হয়েছে

বুধবার দুপুরে প্রাক্তন আইএএস অফিসার তথা কাশ্মীরের মূল স্রোতের রাজনৈতিক দল জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট পার্টির নেতা শাহ ফয়জলকে দিল্লি বিমান বন্দর থেকে  আটক করা হল। তারপর তাঁকে ফেরত পাঠানো হয় শ্রীনগরে। সেখানে জনসুরক্ষা আইন বা পিএসএ প্রয়োগ করে তাঁকে ফের আটক করা হয়। আপাতত তাঁকে কাশ্মীরে গৃহবন্দী করা রাখা হয়েছে।

জানা গিয়েছে প্রাক্তন এই আইএএস অফিসার দিল্লি থেকে ইস্তানবুল যাচ্ছিলেন। দেশ ছাড়ার মুখেই তাঁকে আটক করা হয়। ঠিক কি কারণে তাঁকে আটক করা হল তা না জানানো হলেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করার সাজাই পেলেন তিনি। এর আগে তিনি বলেছিলেন কার্ফু জারির ফলে উপত্যকার ৮০ লক্ষ মানুষ অভুতপূর্ব অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে।

এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, কাশ্মীরে এর আগে এইরকমভাবে জনজীবন স্তব্ধ হতে দেখা যায়নি। জিরো ব্রিজ থেকে বিমানবন্দর ছাড়া আর কোথাও যানবাহন চলাচল নেই। রাস্তায় একামাত্র অসুস্থ যারা আর যাদের কাছে কার্ফু পাস আছে, তারা ছাড়া কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।

৩৭০ ধারা বাতিলে উপত্যকার মানুষ হতবম্ভ হয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, কী হয়ে গেল তা বুঝে উঠতে পারছেন না কাশ্মীরিরা। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মনে হয়েছিল, ৩৭০ ধারা বাতিলের থেকেও রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হওয়াটাই তাদের বেশি আঘাত করেছে। একে গত ৭০ বছরের ভারত রাষ্ট্রের তরফে কাশ্মীরিদের প্রতি সবচেয়ে বড় প্রতারণা বলেছিলেন ফয়জল। একি সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহল কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে চোখে ঠুলি পড়ে আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।