সংক্ষিপ্ত
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এবার বড় দায়িত্বে। কেরলের ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির রাজ্য সভাপতি হতে চলেছেন তিনি।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এবার বড় দায়িত্বে। কেরলের ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির রাজ্য সভাপতি হতে চলেছেন তিনি। আগামী বছরই কেরল বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপির এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। রাজীব চন্দ্রশেখর দুই দশক জাতীয় রাজনীতি সক্রিয়। কেরলের বাসিন্দা। রাজ্য রাজনীতিতেও তিনি পরিচিত মুখ।
দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতারা কেরল জয়ে মরিয়া চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় তাঁর কেরলে মোদী গ্যারান্টি তুলে ধরার জন্য এমন একজনকে খুঁজছিলেন যিনি যোগ্য। আর সেই ক্ষেত্রে রাজীব চন্দ্রশেখরকেই বিজেপি নেতারা যোগ্য বলে মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের ঘনিষ্ট হিসেবেও তিনি পরিচিত। তাই কেরলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোদী ও অমিত শাহ জুটি তাঁর ওপর আস্থা রাখছেন বলা যেতেই পারে।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁকে তিরুবন্তপুরণ থেকে প্রার্থী করেছিল । কিন্তু তিনি কংগ্রেস প্রার্থী শশী থারুর কাছে হেরে যান। যদিও রাজীব চন্দ্রশেখর কেরলের নতুন ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছিলেন বলেও বলছে ভোট বাক্স। পেশগত ক্ষেত্রে তিনি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার। কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রিও রয়েছে।
রাজীব চন্দ্রশেখর গুজরাটের আহমেদাবাদে মালয়ালি নায়ার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা এমকে চন্দ্রশেখর ছিলেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ার কমোডর। তিনি কংগ্রেস নেতা রাজেশ পাইলটের প্রশিক্ষক ছিলেন। তাঁরা মূলত কেরলের ত্রিশুরের বাসিন্দা।
রাজীব চন্দ্রশেখর ত্রিশুরের সেন্ট পলস কনভেন্ট স্কুলে পড়াশুনা শুরু করেন। পরবর্তীকালে বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় বিদ্যায়লয়ে স্কুলজীবন শেষ করেন। এরপর তিনি মণিপাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে পড়াশুনা করেন। ইন্টেলে কর্মজীবন শুরু করেন রাজীব। ১৯৮৮-৯১ পর্যন্ত সেখনে কাজ করেন। বিপিএল, এসআর গ্রুপেও কাজ করেছেন তিনি। মিডিয়া ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত রাজীব চন্দ্রশেখর।
রাজীব চন্দ্রশেখর সংসদীয় রাজনীতিতে পা রাখেন ২০০৬ সালে। প্রথমে কর্ণাটক থেকে রাজ্যসভার নির্দল সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালে বিজেপির সদস্য হিসেবে তৃতীয় বরের জন্য কর্ণাটক থেকে রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে মন্ত্রিসভা রদবদলের পর দ্বিতীয় মোদী মন্ত্রিসভায় চন্দ্রশেখর প্রতিমন্ত্রী হন। তিনি ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয় এবং জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এর আগে তিনি বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র ছিলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।