সংক্ষিপ্ত

সংসদে বাদল অধিবেসনের অচলাবস্থ আরও বাড়তে পারে। সোমবার রীতিমত কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা।  বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই সংসদীয় কাজকর্মে ক্রমাগত বাধা দেওয়ার জন্য সাপপেন্ড করলেন লোকসভার চার কংগ্রেস সাংসদকে।

সংসদে বাদল অধিবেসনের অচলাবস্থ আরও বাড়তে পারে। সোমবার রীতিমত কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা।  বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই সংসদীয় কাজকর্মে ক্রমাগত বাধা দেওয়ার জন্য সাপপেন্ড করলেন লোকসভার চার কংগ্রেস সাংসদকে। বাকি অধিবেশনে এঁদের আর যোগ দিতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। 

কংগ্রেসের সাংসদ মানিকম ঠাকুর, টিএন প্রথাপন,যোথিমনি ও রাম্যা হরিদাশকে লোকসভার বাকি অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েয়েছে। প্রথমে একজন সাংসদ সাসপেন্ড করার কথা বলেন স্পিকার। তারপর সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী চার সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন এই চার সাংসদ সংসদীয় নিময় পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছেন তাঁদের অসদ আচরণ নোট করা হয়েছে। তারপরই চার সংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। 

এই ঘটনার পরই চার সাংসদ হাউসের বাইরে চার কংগ্রেস সাংসদ ধর্না  দেন। সেই সময়ই কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় সরকার কংগ্রেসকে ভয় দেখানোর জন্য এজাতীয় পদক্ষেপ করেছেন। কংগ্রেস সাংসদরা লোকসভায় মূল্যবৃদ্ধির মত জনগণের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিল। তিনি আরও বলেন কংগ্রেস সাংসদদের সাসপেন্ড করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। কিন্তু তাতে বাধা দিচ্ছে বিজেপি সরকার। এভাবে কংগ্রেসকে দমিয়ে রাখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে  বলা হয়েছে সংসদরা রান্নার গ্যাসের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধ, ময়দা আর বাটার মিল্কের মত খাবার জিনিসের ওপর জিএসটি আরোপের বিষয়গুলি উত্থাপন করতে চেয়েছিল। সেই জন্যই পোস্টার নিয়ে গিয়েছে। এই বিষয়গুলি আলোচনার জন্য একটি মুলতুবি প্রস্তাবও দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। 

এর আগে, স্পিকার ওম বিড়লা কংগ্রেস, টিএমসি এবং ডিএমকে সহ বিক্ষোভকারী সদস্যদের সতর্ক করেছিলেন যে যারা স্লোগান এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে থাকবেন তাদের বিকাল ৩ টের পরে হাউসের বাইরে এটি করতে হবে। 

তবে এদিন বিরোধীদের ক্রমাগত বিক্ষোভে বিরক্ত হন  স্পিকার ওম বিড়লা। বিকেল তিনটে নাগাদ অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হয়।  তারপর হাউস শুরু হলেও বিরোধীরা প্ল্যাকার্ড ও স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। জিরো আওয়ারে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের কাজে বাধা দেয়। স্পিকার বলেছেন, বলেছিলেন যে যে সদস্যদের বরখাস্ত করা হয়েছিল তারা "একগুঁয়ে আচরণ", "ইচ্ছাকৃতভাবে এবং ক্রমাগত কার্যধারা ব্যাহত করেছিল" এবং হাউসের নিয়ম ও স্পিকারের নির্দেশ উপেক্ষা করেছিল।  

'মমতা ভয় পেয়েছেন', নজরুল মঞ্চে তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যের পাল্টা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী
'আমি ভোগ করার জন্য রাজনীতি করি না নিজের টাকায় খাই', নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক মমতা
১০০ কোটি টাকা দিলেই রাজ্য়পাল বা রাজ্যসভার সাংসদ হতে পারেন, জাল চক্রের পর্দাফাঁস CBIর