সংক্ষিপ্ত
- পঞ্জাবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
- স্কুল গাড়িতে জীবন্ত দগ্ধ চার পড়ুয়া
- বেআইনিভাবে চলাচল করছিল গাড়িটি
- গাফিলতিতে অভিযুক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ
স্কুল গাড়িতে আচমকাই ধরে গেল আগুন। যার ফলে গাড়ির মধ্য়েই জীবন্ত দগ্ধ হল চার পড়ুয়া। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের সাংগরুর জেলায়। ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।
শনিবার সাংগরুর জেলার লোংগওয়াল- সিদসাচার রোডের উপর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। একটি স্কুল ভ্যান-এ চড়ে বারোজন পড়ুয়া বাড়ি ফিরছিল। তখনই আচমকা ভ্যানটিতে আগুন লেগে যায়। রাস্তার পাশের ক্ষেতে যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের তৎপরতায় আটজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু একটি তিন বছরের শিশুকন্যা সহ চার পড়ুয়া জীবন্ত দগ্ধ হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পর থেকেই ওই স্কুল ভ্যান-এর চালক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। যে চারজন পড়ুয়া মৃত্য়ু হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় স্কুলের প্রিন্সিপাল, কর্তৃপক্ষ এবং স্কুল ভ্যানটির চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছ, যে গাড়িটিতে করে পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেটি চলাচলের উপযুক্ত ছিল না। পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা গাড়িটি বেআইনিভাব চলেছিল বলেও প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। গাড়িটিকে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার পিছনে স্থানীয় পরিবহণ দফতরের কেউ জড়িত থাকলে তাকেও রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বিধায়ক এবং পঞ্জাবের শিক্ষামন্ত্রী বিজয় ইন্দর সিংলা জানিয়েছেন, সিমরান পাবলিক স্কুল নামে ওই স্কুলটির কর্তৃপক্ষ শুক্রবারই ওই গাড়িটি পড়ুয়াদের যাতায়াতের জন্য কিনেছিল। ক্ষতিপূরণ বাবদ মৃত পড়ুয়াদের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা জানান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে ১৯৯০ সালের গাড়িটি এলপিজি-র সাহায্যে চালানো হচ্ছিল। সবমিলিয়ে এটা প্রমাণিত যে সরকারি যাবতীয় নজরদারি এড়িয়ে পড়ুয়াদের নিয়ে যাতায়াত করছিল পরিত্যক্ত গাড়িটি।