সংক্ষিপ্ত

২০১৬ সালে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল হয়ে

লক্ষ্য বরাবরই ছিল অফিসার হওয়া

পুলিসের কাজ করতে করতেই করেছিলেন পড়াশোনা

কীভাবে ইউটিউব তাকে সাহায্য করল

 

চার বছর আগে ২০১৬ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন দিল্লি পুলিশে, নেহাতই এক কনস্টেবল হয়ে। কিন্তু, লক্ষ্যটা তাঁর বরাবরই উঁচু ছিল। আর সেই লক্ষ্য তাড়া করেই সেদিনের কনস্টেবল এখন অরুণাচল প্রদেশের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ-এর দায়িত্ব নিতে চলেছেন। আর তাঁর এই অভাবনীয় সাফল্যের পিছনে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে তাঁর স্মার্ট ফোন আর ইউটিউব-এর, এমনটাই জানিয়েছেন ২৮ বছর বয়সি কেকদাম লিঙ্গো।

সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কম্বাইন্ড কম্পিটিটিভ এক্সাম বা এপিপিএসসিসি পরীক্ষা পাস করেছেন। তিনি জানিয়েছেন এই সাফল্যে তিনি অবশ্যই আমি অত্যন্ত খুশি। তিনি অরুণাচলেরই পশ্চিম সিয়াং জেলার পোক্টো গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবা স্থানীয় এক চার্চের তত্ত্বাবধায়ক। বড় ছেলে হিসাবে পরিবারের দেখভাল এবং ছোট ভাই-এর পড়াশোনার জন্য কিছুটা বাধ্য হয়েই ২০১৬ সালে তিনি দিল্লি পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন।

তবে মনে মনে সবসময়ই তিনি অরুমাচল প্রদেশের পুলিশ অফিসার হতে চাইতেন। এমনকী তিনি কনস্টেবল হিসাবে দিল্লি পুলিশে যোগ দেওয়াতে তাঁর বাবাও অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। তিনিও সবসময় ছেলেকে অফিসার হিসাবেই দেখতে চেয়েছিলেন। তাই দিল্লি পুলিশের কাজ করার ফাঁকে ফাঁকেই এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন লিঙ্গো। আর এই ক্ষেত্রেই তাঁর সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে উঠেছিল তাঁর স্মার্টফোন এবং ইউটিউব। লোকে সাধারণত ইউটিউব চালায় বিনোদনের জন্য। কিন্তু, কেকদাম লিঙ্গো ইউটিউব চালিয়ে টিউটোরিয়াল ভিডিও এবং সাধারণ জ্ঞান বাড়ানোর বিভিন্ন ভিডিও দেখতেন।  

তিনি জানিয়েছেন কাজের জায়গায় ​​বই নিয়ে যাওয়া যেত না, আর তাদের কাজের যা ব্যস্ততা, তাতে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আলাদা সময় বের করা অসম্ভব। তাই স্মার্ট ফোন আর ইউটিউবই হয়ে উঠেছিল তাঁর একমাত্র গাইড, পরামর্শদাতা এবং শিক্ষিকা। ইউটিউবে বিনোদনমূলক ভিডিও দেখার জন্য মন ছটফট করত, কিন্তু তিনি নিজেকে বোঝাতেন স্বপ্ন সফল করতে গেলে এই কৃচ্ছ সাধন তাঁকে করতেই হবে। তাঁর বাবা অনেক বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনযাপনের উদাহরণ দিতেন। আর তাতেই ২০১৫ সালে ইটানগরের রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল নিয়ে স্নাতকোত্তরের পড়া শেষ করার এতদিন পরেও তিনি সফল হতে পেরেছেন।