সংক্ষিপ্ত
কর্ণাটকের ভোট প্রচারে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। অখিলেশ যাবদের পদক্ষেপ রাম চরিত মানস নিয়ে। সঙ্গে রয়েছে কেরলের জামাই রাজনীতি।
ইন্ডিয়া গেট থেকেঃ রাজনৈতিক মহলে প্রকাশ্যে যেমন অনের কিছু ঘটে তেমনই পর্দার আড়ালেও অনেক ঘটনা ঘটে যায়। মতামত প্রকাশ থেকে ক্ষমতা দখলের খেলা- যার একটি রাজৈনিক ভিত্তি থাকে। এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই জাতীয় খবরগুলি আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরি। যা মূলত দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা আমলাদের মাধ্যমে আমরা সংগ্রহ করি। এই খবরের মধ্যে থেকে অনেক সময় এমন খবর সামনে আসে যা রীতিমত মজার। 'ফ্রম দ্যা ইন্ডিয়া গেট' 'From The India Gate'-র আজ ১৯তম পর্ব।
জনসভার ভাতাঃ
কর্ণাটকের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ভিড় জমানোর খেলা ততই জমে উঠেছে। সব রাজনীতিবিদরাই তাদের জনপ্রিয়তার সমর্থনে বিশাল জনসমাগম করতে চান। যাইহোক এটি কোনও আলাদা বিষয় নয়, যে সমস্ত দল তাদের নিজ নিজ কর্মীদের সমাবেশ ও প্রচারেরপ্যারেড করার জন্য আলাদা টাকা দেয়। কিন্তু বেলগাঁও জেলায় একটি সমাবেশের আয়োজকরা রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে। বেশিরভাগ সিনিয়র নেতা যারা প্রচারের জন্য একটি এলাকা পরিদর্শন করেন তাদের সফরসূচিতে একাধিক কর্মসূচির পরিকল্পনা করেন। কোনও একটি মিটিং বিলম্বিত হলে পরবর্তী সব সমাবেশও বিলম্বিত হয়। বেলগাঁওয়েও তেমন কিছু ঘটেছে। কারণ বিকেলে যে নেতাদের অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছানোর কথা ছিল তারা গভীর সন্ধ্যা পর্যন্ত সভাস্থলে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে এতটা ঠিকই ছিল। কিন্তু রাত নামার সঙ্গে সঙ্গেই সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ভিড় ছত্রভঙ্গ হতে শুরু করে। এর কারণ হল জনতাকে শুধুমাত্র দিনের জন্যই টাকা দিয়ে আনা হয়েছিল। সন্ধ্যার পরে অতিরিক্ত সময় সেখানে থাকার জন্য তাদের রাতের জন্যও টাকা দেওয়ার দাবি ওঠে। সব মিলিয়ে স্থানীয় নেতারা ভিড় আটকে রাখতে ব্যার্থ হন । সভা যখন শুরু হয় তখন সব চেয়ারইছিল খালি। যা একটি ফ্লপ শো হিসেবেই নথিভুক্ত হয়ে যাথে।
আবর্জনার কারবার আর জামাইয়ের খেলা
মনে হচ্ছে সস্তায় টাকা রোজগারের লোভ কেরলে শাসক আর বিরোধীদের এক করে দিয়েছে। এর্নাকুলাম জেলা ব্রহ্মপুরমে একটি আবর্জনার স্তূপ স্থাপনের চুক্তিতে সিনিয়র বাম নেতাদের ঘনিষ্ট আত্মীয়দের ভূমিকা নিয়ে দুবার আলোচনা করা হয়েছিল। ধোঁয়াশা মুছে ফেলার পরে এখন দেখা যাচ্ছে সিপিএম নেতার জামাইই জিতেছিলেন। মূল চুক্তিটি কংগ্রেস নেতার জামাইকে উপ-কন্ট্রাক্ট হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। যা কংগ্রেস নেতার জামাই পেয়েছিল সিপিএম নেতার জামাইয়ের আশীর্বাদ হিসেবে।
শ্বশুর বিজেপি এখন আবর্জনা কারবার ও জামাইয়ের ভূমিকা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। ক্যাশ ফর ট্র্যাসের গল্প ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। এমন অবস্থায় এই নেতাদের ক্ষেত্রে উত্তিটি সত্য প্রমাণিত হচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ইস্যু যখন ওয়াইনাড
মনে করা হচ্ছে ওয়াইনাড লোকসভা কেন্দ্রের শীঘ্রই আবার নামকরণ করা হবে। এই কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস কর্মীরা রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণার পর থেকেই রীতিমত সক্রিয়। আইনি মারপ্যাঁচ বুঝতে পারার আগেই তারা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে এই কেন্দ্রের প্রার্থী করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। আসলে রাহুল যখন ওয়াইনাডে প্রার্থী হয়েছিলেন তখন তিনি তাঁর পৈত্রিক আসন আমেঠিতে হারার ভয় পেয়েছিলেন। প্রিয়াঙ্কা যদি ওয়াইনাডে যেতেন তাহলে গান্ধী পরিবারের আরেকটি নিরাদ আসন হবে সেটি। এটি কেরলের কংগ্রেস কর্মীদেরও মনবল বাড়াবে।
নেতাজিকে ছাড়!
উত্তর প্রদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণকরা আশা করেছিলে যে অখিলেশ যাবদ রামচরিত মাসন সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যকারী একজন বিশিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবেন। সঠিক পথ দেখাবেনন। কিন্তু মজার বিষয় হল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দুরের কথা বরং নেতাজিপ বিরোধিতাকারী কিছু লোকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিলেন। যা দেখে দলীয় নেতাকর্মীরাও হতবার। মনে হয় নেতাজির বিষয়ে নীরবতা রাখাটা ছিল পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাঙ্কে বাঁচানোর কৌশল। মনে হচ্ছে অখিলেশ যাদব এই নেতাজিকে বেশি বেশি ভোট দখলের ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। যাইহোক দলটি ইতিমধ্যেই হিন্দু-মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব কিছুই সময়ের অপেক্ষায়। কারণ সমাজবাদী পার্টির এই সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক তা বলবে সময়।
হাসির জন্য চ্যালেঞ্জ
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রীতম গৌড়া জয়ী হওয়ার পরে হাসন কেন্দ্রটি জেডিএস শিবিরের বিতর্কিত কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। জেডিএস আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায়, তবে দলটি সঠিক প্রার্থী দিতে লড়াই করছে। গুঞ্জন হল প্রয়াত বিধায়ক এইচএস প্রাকশের ছেলে স্বরূপ প্রকাশ যিনি চারবার এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে তাঁকেই ফিরিয়ে আনা হবে। স্বরূপের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে জেডিএস প্রধান কুমারাস্বামীর। তবে এইচডি দেবেগৌড়ার বড় ছেল এইচডি রেভান্না তাঁর স্ত্রী ভবানীকে মাঠে নামাতে চান। বল এখন দেবেগৌড়াদের কোর্টে।। কুমারাস্বামীর আশীর্বাদ কে পাবে তাই নিয়ে আলোচনা কর্ণাটকের রাজনীতিতে। যদিও ঘনিষ্ট মহলের খবর ভবানীর থেকে স্বরূপকেই বেশি পছন্দ করেন কুমারাস্বামী। কারণ ১৯৯১ সালে হাসান থেকে সাংসদ হয়ে কুমারাস্বামী দিল্লি গিয়েছিলেন শুধুমাত্র স্বরূপের জন্য।
নেতাজিকে মারধর
পাঁকে ফোটা পদ্ম প্রায়ই আশাবাদের উদাহরণ হয়। তামিলনাডুতে স্ট্যালিন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পিছনে বিজেপির সবথেকে বেশি হাত রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। শীর্ষ বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন যে ২০২৬ সালে রাজ্যে তাদের নিজস্ব সরকার গঠিত হবে। কিন্তু বিজেপি এখানে ব্ভ্রান্তিকর অবস্থায় রয়েছে। বিজেপির কার্যনির্বাহী সভায়ও এই কোন্দল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিজেপি এখন বিভ্রান্ত । এ নিয়ে জোট ভাঙার হুমকি দিয়েছেন বিজেপির এক সিনিয়র নেতা। তখন তার দলের কয়েকজন সহকর্মী তাকে সংবেদনশীল আচরণ করার এবং শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। এই সিনিয়র বিজেপি নেতারা যখন সমাধানের জন্য দিল্লিতে পৌঁছেছেন, তখন জাতীয় নেতৃত্বও তাদের বোকামি না করার পরামর্শ দিয়েছেন। সামগ্রিকভাবে, জাতীয় নেতৃত্ব নেতাজির কথা শুনতে অস্বীকার করলে, তিনি নীরবে নিজের পায়ে ফিরে যান।
আরও পড়ুনঃ
২৫ মার্চ 'বিশ্ব গণহত্যা দিসব' হিসেবে পালন করার আর্জি বাংলাদেশের, জানুন ৫২ বছর আগে কী হয়েছিল এই দিনে
নীরব মোদী- ললিত মোদীর জন্য বিজেপি এত কষ্ট কেন? রাহুল গান্ধী ইস্যুতে সুর চড়িয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিভ্রাট! কর্ণাটকে মোদীর কনভয়ের দিকে ছুটে গেল উত্তেজিত এক ব্যক্তি