সংক্ষিপ্ত

কর্ণাটকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়ের দিকে ছুটে গেল উত্তেজিত এক ব্যক্তি। যদিও তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ।

 

আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা বিভ্রাট। কর্ণাটকে রোডশো চলাকালীন এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোগীর কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। শনিবারের এই ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলে দিল মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে। যদিও নিরাপত্তারক্ষীরা তৎপর ছিলেন। তাঁরা ওই ব্যক্তি মোদীর কাছে যাওয়ার আগেই আটকে গেয়। তবে পুলিশ এই বিষয়ে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে একটি জনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। -স এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাস মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পুলিশ এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাপ্পালের বাসিন্দা। তাকে আটক করা হয়েছে।

 

 

দাভাঙ্গারে পুলিশ সুপার সি বি রিশয়ন্ত জানিয়েছেন নিরাপত্তা লঙ্ঘনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেছেন, 'এমন কিছু ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও সেই লোকটি যেতে পারেনি। তার আগেই তাকে পাকড়াও করা হয়েছে।' এডিজিপি আইন শঙ্খলা অলোক কুমার জানিয়েছেন মিডিয়ার একটি অংশ রিপোর্ট করা হয়েছে, আজ দাভাঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। কিন্তু তা করা চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটি ছিল ব্যার্থ প্রচেষ্টা। সংশ্লিষ ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়েছে। নিরাপদ দূরত্বেই তাকে ধরে ফেলেছে পুলিশ।

ভোটামুখী কর্ণাটক সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও নিশানা করেন কংগ্রেসকে। তবে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও সেই বিষয়ে একটিও কথা বলেননি তিনি। কিন্তু বিজেপিকে রাজ্যের উন্নয়নের জন্যই এই রাজ্যে ফেরাতে হবে বলেও জনসভায় উপস্থিত আম জনতার কাছে আর্জি জানান। চলতি বছর অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে এই নিয়ে সাতবার কর্ণাটক সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার বেঙ্গালুরু মেট্রোর হোয়াইটফিল্ড (কাদুগোদি) থেকে কৃষ্ণরাজপুরা মেট্রো লাইনের উদ্বোধনের পর দাভানাগের একটি জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিন কংগ্রেসকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কর্ণাটককে কংগ্রেস নেতারা তাদের নিজেদের কোষাগার পূর্ণ করার কাজে ব্যবহার করে এসেছেন। এই রাজ্য ছিল কংগ্রেস নেতাদের কাছে এটিএম-এর মত। রাজ্যের উন্নয়নের জন্যই বিজেপির লাগাতার ক্ষমতায় থাকার পক্ষেও সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, স্থিতিশীল সরকার রাজ্যের দ্রুত উন্নয়ন করতে পারবে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কর্ণাটককে কারচুপির রাজনীতি থেকে দ্রুত বের করে আনা জরুরি। তিনি বলেন বিজেপি এই রাজ্যকে ভারতের চালিকা শক্তিতে পরিণত করতে চায়। এই রাজ্যের কোষাগার আরও ভরে দিতে চায়। কিন্তু আগের সরকার বা কংগ্রেস এই রাজ্য়কে সর্বদাই নিজেদের এটিএম-এর মত ব্যবহার করেছে, বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।