সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় রাজনীতির ওঠাপড়ার ছবি তুলে ধরা হয়েছে ইন্ডিয়া গেটে। যেখানে পর্দা ফাঁস করা হয়েছে রাজনীতির অন্তরমহলের কথা।
উত্তারাধিকার ইস্যুতে রাজনীতি
যখনই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন তখনই তাঁর মন ভয়হীন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিগুলির তীব্র নিন্দা করার সম্ভাব্য সমস্ত সুযোগই তিনি ব্যবহার করেন। এই সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করার জন্য একজন সেলিব্রিটির কাঁধ ব্যবহার করছেন। আর সেই সেলিব্রিটি আর কেউ নয়- অমর্ত্য সেন।
বিশ্বভারতী সম্প্রতি ক্যাম্পাসে জমি খালি করার জন্য অমর্ত্য সেনকে বাকি প্রাক্তন আশ্রমীকদের মতই নোটিশ পাঠিয়েছন। কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদত্যাগ করতেও বলা হয়েছে। তাদের মধ্যেই একজন হলেন অমর্ত্য সেন। এঁরা প্রত্যেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অনুষদের উত্তরাধিকারী হিসেবে জমি পেয়েছিলেন।
অমর্ত্য সেনের মা অমৃতা সেন এবং দাদা ক্ষিতি মোহন সেন ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রকৃতপক্ষে, ক্ষিতি মোহন ছিলেন বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় উপাচার্য। অমর্ত্য সেন ক্যাম্পাসে প্লটটি তাঁর আইনি উত্তারাধিকার হিসেবে পেয়েছেন। কিন্তু তিনি এটি ছাড়তে নারাজ। সম্প্রতি মমতা শান্তিনিকেতনে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করতে যান। একই সঙ্গে তিনি সেখানকার জমির নথি অমর্ত্য সেনের হাতে তুলে দেন। যদিও অমর্ত্য সেন তাঁকে পাঠান নোটিশকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থানের প্রতিশোধ হিসেবে দেখছেন।
অমর্ত্য সেনের সঙ্গে আচরণের জন্য মমতা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপেক্ষের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন। গোটা ঘটনাকে প্রতিশোধের রাজনীতি বলেও চিহ্নিত করেছেন। দিদির মতই নন-ইস্যুকে ইস্যু তৈরি করার শিল্প আধুনিক রাজনীতিবিদদের শেখা উচিৎ। কিন্তু তৃতীয়া বা চতুর্থ প্রজন্মের উত্তরাধিকারীরা অন্য কোথাও তাদের নিজস্ব রিয়েল এস্টেটের মালিক হওয়া সত্ত্বেও জমি দখল করা নিয়ে মাথা ঘামায় না।
তরকারির স্বাদ
তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে মশালাদার শরবতের পড়েছে আম প্রতীক নিয়ে গঠিত দলটি। রাজনৈতিক থালিতে একটু জায়গা খোঁজার চেষ্টা করেছে।
ক্ষমতাসীন দলের হঞ্চোদের তালু খুশি করার জন্য পিতা-পুত্র যারা দলের নেতৃত্ব দেন রাজ্যপালকে আক্রমণ করার জন্য একটি সহজ পথ খুঁজে পেয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে দলটি অনলাইন জুয়ার বিল অনুমোদনে বিলম্বের জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
তবে একটি গ্রহণযোগ্য রেসিপি দলটিতে এই এড়িয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ক্ষমতাসীন দলের মিত্ররা পিতা পুত্রের দুটিকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য যে কোনও পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে। জিএমকে ঝুড়িতে আম অন্তর্ভূক্ত করা যে চেষ্টা শুরু হয়েছে তাতে নতুন করে সমস্য তৈরি হতে পারে। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য পিতা-পুত্রের আশা সময় মত আম পাকা হবে। নাকি টক থাকবে- সেটাই এখন আলোচনার বিষয়।
গাছে তুলে মই টানা
যেকোনও দলের কর্মীদের কাছেই আশা রাজনৈতিক সিঁড়িতে আরোহন করা। কিন্তু ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লিগের বা IUML পার্টির বিদ্রোহী কণ্ঠকে দমানোর চেষ্টা করা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে তাদের যারা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পি কে কুনহালিকুট্টির বিরোধিতা করছেন তাদের রাজ্য কমিটিকে পুনর্গঠন করার সময়।
মার্চে লিগের জাতীয় সম্মেলনের আগে নতুন কমিটি গঠন করেত হবে। কে এস হামজা , কেএম শাজি ও পিএম সাদিকালি সহ কুনহালিকুট্টির বিরোধী নেতাদের এখনও পর্যন্ত তালিকায় নাম নেই। আবারও এটি স্পষ্টভাবে বিরোধী অংশে আনুপাতিক জায়গার জন্য দলটি দ্বৈত অবস্থানকে প্রকাশ করে। এরফলে এখন স্পষ্ট যে পিএম এ সালাম সটিব হিসেবে বহাল থাকবেন।
দলটি তার জেলা ইউনিটগুলিতেও সমমনা দলের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় জোর দিচ্ছে। প্রচারণার অংশ হিসাবে, সম্প্রতি তিরুবনন্তপুরমে একজন চলচ্চিত্র তারকাকে তার ভাঁজে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে পুরো মহড়া নিয়ে নাখোশ দ্বিতীয় সারির নেতারা। কারণ, অনেকেই মনে করেন যে তাদের বড় লিগে যাওয়ার সম্ভাবনা এখন একটি অপূর্ণ উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে যাবে।
ভুল পার্কিং
তার মেয়ের জন্য আয়োজিত জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠানের স্থাপনি এই ইউপি বিজেপি নেতাকে ট্র্যাপে ফেলেছে। প্রাক্তন এসপি সরকারের অন্যতম কৃতিত্ব লখনউয়ের জনেশ্বর মিশ্র পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইউপির টোস্ট অংশ নিয়েছিল। সমাজবাদী পার্টির সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলির সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে উন্নত ল্যান্ডমার্কের জন্য। তাদের শাসনকালে কেএস ছিল বিজেপি নেতাদের জন্য সবথেকে প্রিয় গন্তব্য।
কোরাস আরও জোরে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনকি বিজেপি নেতারাও মনে করেন একটি এড়ানো কিছুটা হলেও বিব্রতকর। শীর্ষ নেতাঅন্য কোথাও বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারতেন।
পাইলটহীন গুজ্জর গাড়ি
রাজস্থানের ৪০টি বিধানসভা আসনে উল্লেখযোগ্য দখন নিয়ে গুজ্জর সম্প্রদায় রাখালের খোঁজ শুরু করেছে। এখনও অবধি বেশিরভাগ গুজ্জর নেতা কংগ্রেস নেতাকে অনুসরণে করেছিলেন যিনি রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপের মাধ্যমে তাদের পাইলট করেছিলেন। অর্থাৎ শচীন পাইলট। কিন্তু কংগ্রেস নেতা অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ায় তিনি অধরা থেকে গেছেন। রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য রয়েছে।
যদিও গুজ্জর নেতারা বুধতে পেরেছেন যে তাদের একজন নতুন নেতার প্রয়োজন। কিন্তু তাদের অনুসন্ধান এখনও পর্যন্ত বৃথা গেছে।
রাজনৈতিকভাবে তুচ্ছ হওয়ার অনুভূতি বহুগুণ বেড়ে যায় যখন তাদের কাউকেই এমন একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান হয়নি যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজ্জর সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন। এই নেতারা বুঝতে পেরেছেন যে তারা একটি চৌরাস্তায় রয়েছে। যদি দ্রুত একজন উপযুক্ত নেতাকে তারা না পায় তাহলে তাদের রাজনীতিক জীবনের সলিস সমাধি হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
মিউট বটন
কর্নাটকের মত রাজ্যে বর্তমানে ক্ষমতা দখলের লড়াই তুঙ্গে। কারণ চলতি বছরই এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই বিজেপি বিধায়ক বসনগৌড়া পাটিল ইয়াতনাল কে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। তাঁকে আটকে রাখার অভিযোগও উঠেছে। দলের সহকর্মী ও বিএস ইয়েগুরাপ্পা ও মন্ত্রী মরুগেশ নিরানির মত সিরিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু দিল্লিতে সাম্প্রতিক গোপন সফরের পর ইয়াতনাল অনেকটাই নীরব। কর্নাটক বিজেপির কথায় তিনি মিউট হয়ে গেছেন। অনেকেই বলছে ঠান্ডায় ভোকালকডগুলি বরফ হয়েগেছে। কিন্তু পরে যা শোনা গেছে তা হল অমিত শাহের কঠোর সতর্কতার পরেই তিনি মিউট বোতান অন করেছিলেন।
চুপ থাকার জন্য অমিত শাহের নির্দেশ নেতাকে তার মানসিক আক্রোশ কমাতে বাধ্য করেছে। দলের অন্তরে কানাঘুষো রয়েছে, ললিপপটি কুইড-প্রে হিসেবে দেওয়া হয়েছিল পাঁচ মিশালি সংরক্ষণের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস। ইয়াতনাল এই কারণে কট্টর উকিলদের মধ্যে একজন।
তবে সূত্রে খবর শাহ-করণ নোটিশটি আক্ষরিত অর্থে ইয়াতনালের কাছে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের মতই। কারণ আরএসএস-এর তাঁর তেমন ঘনিষ্ট নেই। তবে তাঁর একমাত্র শান্ত্বনা অনন্ত কুমার। ইয়াতনাল অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিল। তাঁর জন্য অনেক সময় এলকে আডবানীকেও রেফারির ভূমিকা পালন করতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন-
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক আর সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, চারদিকে শুধুই হাহাকার আর আর্তনাদ
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সঙ্গে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড
হাইড্রোজেন উৎপাদনে বিশেষ জোর প্রধানমন্ত্রী মোদীর, স্বাগত জানালেন এনার্জি উইকে উপস্থিত শিল্পপতিরা