সংক্ষিপ্ত

এনার্জি উইকে হাইড্রোল ও জৈব জ্বালানি উৎপাদনের ওপর বিশেষ জোর দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন দেশ ও বিদেশের শিল্পপতিরা।

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তি হিসেবে জৈব জ্বালানি ত ও হাইড্রোডেনের উপর ফোকাস রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের। তিনি বলেছেন এই দুটি শক্তির ওপর নির্ভর করেই ভারত তৃতী. বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরুণত হবে। তিনি আরও বলেছেন এই দুটি শক্তির ওপর জোর দিলে ভারতকে তেল ও গ্যাস আমদানির ওপর নির্ভরতা অনেকটাই কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন এই দুটি শক্তির ওপর নির্ভরতা বাড়়ালে ভারতের অর্থনীতিও অনেকটা টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে যাবে।

ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর ভারতকে একটি স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার রোডম্যাপ তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন তেল ও গ্যাস শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শীর্ষস্থানীয় ব্যবস্থায়ীদের সঙ্গে কর্নাটকে একটি বৈঠক করেন। ইন্ডিয়া এনার্জি উইক বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ভারতকে বর্তমান পঞ্চম অর্থনীতির গেশ থেকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করার জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরেন। সেখানেই তিনি বলেন জ্বালানি শক্তিতে ব্যপক পরিবর্তন প্রয়োজন। জৈব জ্বালানি ও হাইড্রোজেন গ্যাসের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন বেদান্ত রিসোর্সেসএর চেয়ারম্যান অনিল আগরওয়াল। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া এনার্জি উইক-এর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের বৈঠক খুবই গুরুত্বরূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ভারত তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনের জন্য সবথেকে আকর্ষণীয় স্থান হবে তাতে কোবও সন্দেহ নেই।

 

 

সূত্রের খবর বৈঠকে মোদী ১০০ শতাংশ পুননর্বীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার ও ঐতিহ্যগত জ্বালানীতি ইথানল ও জৈব জ্বালানিতর মিশ্রণ বাড়ানোর কথা বলেছেন। তিনি ভারতকে বিস্বের বৃহত্তম হাইড্রোজেন উৎপাদনকারী দেশে পরিণত করার কথাও বলেছেন। হাইড্রোজেন হল সবথেকে বেশি পরিষমকার ও পরিচিত জ্বালানি যা পোড়ালে শুধুনাত্র জল ও অক্সিজেন নির্গত হয়। সূত্রের খবর ব্রিটেনের সঙ্গে বিপি পিএলসি, এক্সনমোবিল ও টোটাল এনার্জির মত আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির প্রধানরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। রোসনেফেব্টের প্রধান ইগর সেচিনও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় পাবলিক সেক্টর কোম্পানিগুলির প্রধান, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফাতিহ বিরলও বৈঠকে ছিবেন। অনিল আগরওয়ালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন টুলো অয়েলের সিইও রাহুল ধীর। এই বৈঠকেই উপস্থিত শিল্পপতিরা মোদীর কাছে তাদের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন। কেউ কেউ তেল ও গ্যাস খাতে কর ৭০ থেকে ৪০ শতাংশ নামিয়ে আনার কথা বলেন।