সংক্ষিপ্ত
ইন্ডিয়া গেট- এই রাজনৈতিক বিশ্লেষণে এই রাজ্যে বামাদের টানা পোড়েন থেকে রয়েছে বিজেপির অন্দরের সমস্যা ও কংগ্রেসের সর্বক্ষেত্রেই রাহুল গান্ধীকে ইস্যু করার মানুষের অবাক হওয়ার ঘটনা।
ইন্ডিয়া গেট থেকেঃ রাজনৈতিক মহলে প্রকাশ্যে যেমন অনের কিছু ঘটে তেমনই পর্দার আড়ালেও অনেক ঘটনা ঘটে যায়। মতামত প্রকাশ থেকে ক্ষমতা দখলের খেলা- যার একটি রাজৈনিক ভিত্তি থাকে। এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই জাতীয় খবরগুলি আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরি। যা মূলত দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা আমলাদের মাধ্যমে আমরা সংগ্রহ করি। এই খবরের মধ্যে থেকে অনেক সময় এমন খবর সামনে আসে যা রীতিমত মজার। 'ফ্রম দ্যা ইন্ডিয়া গেট' 'From The India Gate'-র আজ ২০তম পর্ব।
রাজনীতির নিয়ম পরিচ্ছন্ন করা
নোরংরা লাইন নিয়ে আলোচনা করা রাজনীতিতে অত্যান্ত প্রিয়। চলতি সপ্তাহে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি মোদী সরকারকে হুমকি দিয়ে মঞ্চে এনেছিলেন 'বিজেপি ওয়াশিং মেশিন'। সেই ওয়াশিং মেশিনেই তিনি কালো কাপড় সাদা করে দেখান।
মমতা মূল্যবৃদ্ধি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে দমন করার জন্য কেন্দ্রকে অভিযুক্ত করেন। পাশাপাশি দলবদল নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে মঞ্চেই ধোলাই মোডে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
পাল্টা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার মমতার বিরুদ্ধে পাল্টা প্রদর্শন করেন। পথে নেমেছিল বাম দলগুলি। কিন্তু এই রাজ্যে বাম দলগুলির অবস্থা খুবই করুন। তাদের একাধারে বিজেপি অন্যদিকে মমতার তৃণমূল- দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই সরব হতে হচ্ছে। তাদের লড়াইটা বিরোধী এক ফাই পাইয়ের মত!
নির্দোষ ভাবে আপনার
প্রাক্তন সাংসদ, মালায়ালম শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা। তার রিল অস্তিত্বের বাইরে। সম্প্রতি মারা গিয়েছেন- কিন্তু তাঁকে সর্বদাই চন্দন রঙের কুর্তা আর ধুতিতে দেখা যেত।
লোকসভার সদস্য হওয়ার পরেও হাস্যরস ছিল তাঁর বর্ম। ২০১৪ সালে যখন সিপিএম তাঁকে চালকুড্ডি আসন থেকে প্রার্খী করেছিল , তখন অনেকি এবাক হয়েছিল। কেউ আশা করেনি যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি বিহীন কৌতুক অভিনেতা হাস্টিংকে প্রভাবিত করতে পারবে।
তার বিজয়ে পরেও তিনি একই রকম থেকে গিয়েছিলেন। তিনি দেখিয়েছিলেন তিনি একজন ভাল সাংসদও। ক্যান্সারের চিকিৎসার পরে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা জুড়ে প্রাথমিক সনাক্তরপণ কেন্দ্র ও উপশমকারী কেন্দ্রগুলিকে আরও ভাল করেছিলেন।
তিনি অভাবী মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য সমস্ত রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তাঁর কর্মক্ষমতা ছিল অনন্য, তাঁর কার্যকাল একটি দুর্নীতিমুক্ত যুগ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সমস্ত রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তাঁর আদর্শ ও সরলতা অনেকদিন ধরেই বেঁচে যাতবে। মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করার পাসওয়ার্ড ছিল তাঁর নির্মল হাসি।
শতবর্ষীয় নীল
ভাইক্কোম সত্যাগ্রহের শতবর্ষ, মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক সূচিত ও জাতীয় নেতাদের দ্বারা গৃহীত একটি আন্দোবন, একটি বিশাল মাইল ফলক। কোট্টায়ম জেলার ভাইক্কোম শিবমন্দিরের কাছে রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য গান্ধীজি সত্যগ্রহ শুরু করার জন্য আগে ভাইক্কোমে এসেছিলেন।
কেরল ও তামিলনাড়ু- দুই রাজ্যের মুখ্যমমন্ত্রী য়ৌথভাবে অনুষ্ছামেপ উদ্বোধন করেন। কংগ্রেসের হয়ে কর্মসূচি চালু করেছিলেব বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।
এই কর্মসূচিতে না থেকেও উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী। কারণ অনেকেই রাহুল গান্ধীর জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। পিছিয়ে পড়া শ্রেণীগুলি তাগের অধিকারের কিছু অংশ পাওয়ার জন্য ১০০ তম বার্ষিকী স্মরণ প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহারর করার জন্য কংগ্রেস যে উদ্যোগ নিয়েছিল তা বুঝে উঠতে পারেনি। একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অসতর্ক মন্তব্যের জন্য তিনি এই পরিস্থিতি অবতরণ করেছেন। এই পোস্টার শোটি যাতে এই মঞ্চে না হয় তার ব্যবস্থা করা উচিৎ ছিল কংগ্রেসের- অনেকেই এমনই মন্তব্য করেছেন।
এমনকি সিপিএম-এর আন্দোলনের ওপর দাদাগিরি করার প্রচেষ্টা - কারণ দলটি সত্যাগ্রহের অন্তত ৪০ বছর পরে গঠিত হয়েছিল।
স্টপ প্রেস
সারাদেশে টিভি - পরবর্তী নির্বাচনের বিশেষত্ব হল ত্রিপাক্ষীয় বিতর্ক। স্থানীয় বিষয় থেকে জাতীয় সমস্যা পর্যন্ত আলোচিত বিষয় - অস্থিরতা হল অগ্নিগর্ভ বিতর্ক যা কোছাও থেকে বেরিয়ে আসে।
রামনদর বিধানসভা কেন্দ্রের সম্প্রতি পর্বগুলির মধ্যে এটি একটি যেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামীর ছেলে লিখিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- অংশগ্রহণকারীদের দলত্যাগের জন্য স্মরণ করা হবে।
শত শত কংগ্রেস কর্মী প্রায় ৭০ জন বিজেপি কর্মী ও মাত্র ৪ জন জেডিএস কর্মী উত্তপ্ত আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। আয়োজকরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেও কোনও জেডিএস কর্মী আসেনি।
শো দেখতে সেখানে থাকা তিন সাংবাদিককে জেডিএস কর্মীদের সঙ্গে শোতে অংশ নিতে বলা হয়েছিল। বিতর্কের কয়েক মিনিটের মধ্যে, জেডিএস সুপ্রিমো এইচডি কুমারস্বামীর পঞ্চরত্ন যাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে একজন জেডিএস নেতা দাবি করেছেন যে কংগ্রেস এবং বিজেপির মতো ইভেন্টে যোগ দেওয়ার জন্য তার দলকে লোকেদের টাকা দিতে হবে না।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে, কংগ্রেস নেতারা জেডিএস কর্মী হিসাবে মুখোশ পরা তিন সাংবাদিককে জেডিএস পাশ খালি রেখে তাদের পাশে আমন্ত্রণ জানান।
জেডিএস বিধায়করা নির্বাচিত হলেও এটাই করেন, কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করেন। যদিও বিব্রত, একজন জেডিএস নেতা স্বীকার করেছেন যে তিনজন সাংবাদিক এবং তাদের সহকর্মী নন। 'এটা নির্বাচনের মৌসুমে সাংবাদিকদের দলত্যাগ ছাড়া আর কিছুই নয়,' আরেকজন বলেন।
পদ্ম - পিকল
তেলাঙ্গনা - অত্যাচারে জন্য পরিচিত। এই রাজ্যের রাজনীতিও প্রতিটি স্কুপে অত্যান্ত মশলাদার।
বিজেপির সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি জাতীয় নেতাদের হৃদয়ে একই রকম জ্বলন্ত সংবেদন রেখেছে।
বিজেপিতে নতুন প্রবেশ , প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও অন্তর্ভুক্ত কমিটির চেয়ারম্যান এচেটা রাজেন্দর সাম্প্রতিক কারণ ।
রাজেন্দ্র বিজেপিতে যোগ দিতে তৎকালীন টিআরএস থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পরে তিনি বিজেপির টিকিটে হুজুরাবাজ আসন থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হন।
কিন্তু দল তার সমর্থকদের জন্য টিকিট সহ কিছু প্রতিশ্রুতি পুরণ না করায় রাজেন্দার অন্তর্ভুক্তি কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
তিনি বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে পদত্যাহ করা ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন। যদিও নাড্ডা রাজেন্দ্রকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই নিয়েসবিজেপিতে সত্যি রাজনৈতি জল ঘোলা হচ্ছে। মুনুগোদে ভোটে পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে দলটি গতি হারাতে শুরু করে।
এর পরে কোনও বড় নেতা বিজেপি যোগ দেননি। সিনিয়র নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দলের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে। দলের সমস্ত অসুখের কারণ রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় দৌড় থাকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন দিল্লি খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি নোট করবে।
আরও পড়ুনঃ
প্রধানমন্ত্রী মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? কেজরিওয়ালকে ২৫ হাজার টাকার জরিমান গুজরাট হাইকোর্টের
মোদী পদবী মন্তব্যের জের, এবার মানহানি মামলায় বিহারের আদালতে হাজিরার সমন রাহুল গান্ধীকে