সংক্ষিপ্ত
গুজরাট হাইকোর্টের রায়ে আবারও স্বস্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিছুটা হলেও কোনঠাসা কেজরিওয়াল। আদালত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকার জরিমানি দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। এবার তারই একটি মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের রায়ে রীতিমত স্বস্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি। কিন্তু গুজরাট হাইকোর্টের রায় আবারও অস্বস্তি বাড়াল মোদীর সমালোচক হিসেবে পরিচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। শুক্রবার গুজরাট হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির শংসাপত্র প্রকাশ করতে হবে না। রায় দানের সময় বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব প্রধান তথ্য কমিশনের ২০১৬ সালের আদেশটিও বাতিল করে দেন। এই আদেশেই প্রধানমন্ত্রীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শংসাপত্রের বিশদ বিবরণ দিতে পিএমও-র পাবলিক ইনফরমেশন অফিয়ার ও গুজরাট ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আদিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদ সংস্থার মতে একই সঙ্গে গুজরাট হাইকোর্ট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডিগ্রি শংসাপত্রের বিবরণ চেয়েছিলেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াকে চার সপ্তাহের মধ্যে গুজরাট স্টেটস লিগাল সার্ভিসের দফতরে টাকা জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও কেজরিওয়ালের আইনজীবী পার্সি কাভিনার এই আদাশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি বৈষ্ণব তাঁর আদেশ স্থগিত করতে অস্বীকার করেছেন।
তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলা বিভাগের এম.এ-র ডিগ্রির বিশদ বিবরণ সরবরাহ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিল গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়। গুজরাট হাইকোর্ট মামলার অনুমতি দিয়েছিল। মামলার শুশানি শেষ হয় গত ৯ ফেব্রুয়ারি। তারপরই আদেশ সংরক্ষণ করে গুজরাট হাইকোর্ট। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী নথি অনুযায়ী তিনি ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন, ১৯৯৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান। এদিন শীর্ষ আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেছিলেন, এটি গণতন্ত্র, পদে অধিষ্ঠিত একজন ব্যক্তি ডিক্টরেট বা নিরক্ষর হলে কোনও পার্থক্য থাকবে না। এই ইস্যুতে কোনও জনস্বার্থ জড়িত নেই। এমনকি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির গোপনীয়তাও প্রভাবিত হয়। সরকারি আইনজীবীর দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সম্পর্কিত তথ্য তাঁর ভূমিকার ওপর কোনও প্রভাব ফেলে না।
তবে গুজরাট হাইকোর্টের এই রায়ের তীব্র বিরোধিতা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, 'দেশের মানুষের কি তাদের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সম্পর্কেও জানবার অধিকার নেই? তিনি কেন আদালতে ডিগ্রি দেখানোর বিরোধিতা করেছিলেন? এটা কী হচ্ছে? এজন অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক।' পাল্টা বিজেপিও সরব হয়েছে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। বিজেপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলা বা কুরুচিকর মন্তব্য করা বর্তমানে একটি ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে। কেজরিওয়ালকে কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরেই বিজেপি বলেছে, গুজরাট আদালত তাঁকে আসল জায়গা দেখিয়েছে।'
আরও পডুনঃ
রাম নবমী উৎসবে সামিল অযোধ্যা থেকে বীরভূম, বিশেষ কুমারী পুজোর আযোজন যোগীর - দেখুন সেরা ছবিগুলি