সংক্ষিপ্ত
বিশ্ব নেতাদের নৈশভোজের মেনু কার্ড কিন্তু ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তবে মেনুর বিশেষত্ব হল অনুষ্ঠানে বিশ্বে নেতা ও আমন্ত্রিতদের জন্য সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ বর্ণাঢ্য নৈশভোজের। বিশ্ব নেতাদের নৈশভোজের মেনু কার্ড কিন্তু ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তবে মেনুর বিশেষত্ব হল অনুষ্ঠানে বিশ্বে নেতা ও আমন্ত্রিতদের জন্য সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। গালা ডিনারে মূলত ভারতীয় খাবারই পরিবেশন করা হচ্ছে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজরাকে।
রাষ্ট্রনেতা ও অন্যান্য বিশেষ অতিথিদের এক অন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী রাখার জন্য গালা ডিনারে সোনা ও রুপোর পাত্রে খাবার পরিশেন করা হচ্ছে। এটি ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি প্রতীক। খাবারেও ভারতীয় স্বাদ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ঐতিহ্য রীতিনীতি জলবায়ু মধ্যে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খাবার তুলে ধরা হয়েছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের বিশেষ নৈশভোজে। মেনু কার্ডে লেখা রয়েছে 'ঐতিহ্য, রীতিনীতি এবং জলবায়ুর সমন্বয়, ভারত বিভিন্ন উপায়ে বৈচিত্র্যময়, স্বাদ আমাদের সংযুক্ত করে'। নৈশভোজ বাজরা বা মিলেটকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মেনু কার্ডে বাজরার গুণ, পুষ্টি ও কৃষি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
মেনুকার্ড-
স্টার্টারঃ
পাত্রমঃ ফক্সটেইল বাজরা পাতার চূড়ার ওপর দইয়ের গোলক ও মশলা দেওয়া চাটনি।
মূল খাবার-
ভানাবর্নম- কাঁঠালের গ্যালেট গ্লাসড ফরেস্ট মাশরুম, সামান্য বাজরা খাস্তা এবং কারি পাতা-টাস করা কেরালা লাল চালের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়
পনির লাবদার, আলু লিওনিজ, সবজা কোরমা, কাজুবাদাম মাখনা, আরিবিয়াটা সসে পেন।
ডাল-
জোয়ার ডাল তরকা
ভাত-
পেঁয়াজ জিরা পোলাও
রাইতা আর চাটনি-
শসার রাইতা, তেঁতুল ও খেজুরের চাটনি, আচার, সাধারণ দই।
ভারতীয় রুটি
মুম্বই পাও- পেয়াজের বীজের স্বাদযুক্ত নরম বান
বাকরখানি এলাচ-গন্ধযুক্ত মিষ্টি রুটি়
তন্দুরি, রোটি মাখন, নান কুলচা।
ডেডার্ট
মধুরিমা সোনার পাত্র - এলাচের গন্ধওয়ালা বার্নাইয়ার্ড বাজরা পুডিং, ডুমুর-পিচ কম্পোট ও আম্বেমোহর চালের চটপটি, জিলেবি, কুট্টুমালপোয়া, কেশর পেস্তার রসমালাই, গরম আখরোট ও আদা পুডিং। স্ট্রবেরি আইসক্রিম। মাইল ঘেভার, গুলাব চুরমা, পিস্তা কুলফি, গম পুডিং, শ্রীখণ্ড, ফুলাদার সঙ্গে মালাই কুলফি, মিছরি মাওয়া, মসুরডাল বাদাম পুডিং, ক্ষীর, গাজরের হালুয়া, আঙ্গুরি রসমালাই, আপেল ক্রাম্বল পাই, যোধপুরী মাওয়া কচুরি।
পানীয়
ফিল্টার কফি, দার্জিলিং চা, পানের স্বাদযুক্ত চকোলেট পাচার চা।
বাজরার আইটেম-
সিঙ্গারা, পরোটা, ক্ষীর, ফক্সস্টাইল বাজরা, ছোট বাজরা, বার্নিয়ার্ড বাজারা। এছাড়াও থাকছে ভেলপুরি, মশলাদার চাট, জল প্যানকেক, দইপুরি, সেবাপুরি, মির্চিভড়া, বিকানেরি ডাল পরোটা।
প্রাদেশিক খাবার -
বিহারের লিট্টি চোখা। বাজরা দিয়ে তৈরি রাজস্থানী ডালবাটি চুরমা, বাংলার রসগোল্লা, পঞ্জাবের ডাল তরকা। দক্ষিণ ভারতের উত্তাপম, মশলা দোসা, উরুলাই ভাথাক্কল, মালাবারের পরোটা, ইডলি সাম্বার, পেয়াজ মরিচ উত্তাপম , মহীশূর দোসা। চাঁদনীচকের একাধির চাটও স্থান পেয়েছে নৈশভোজে।
স্যালাড-
টস করা ভারতীয় সবুজ স্যালাড। পাস্তা ও ভাজাভুজির স্যালাড।